মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনায় কমপক্ষে এক লাখ মৃত্যু হয়েছে

সরকার আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে মির্জা ফখরুলের চ্যালেঞ্জ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

করোনার সংক্রমণের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকার জাতিকে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তারা (সরকার) বলছে, আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৯১৪ জন মারা গেছে। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, পত্রিকাতেই আছে বাড়িতে মৃত্যুর সংখ্যা হচ্ছে ৬৫ ভাগ। তাহলে চিন্তা করেন। এই ২০ হাজার ৯১৪ জনের সঙ্গে ৬৫ ভাগ যোগ করেন। এই সংখ্যা এক লাখের নিচে কখনোই না।

গতকাল সোমবার লালমনিরহাট বিএনপির উদ্যোগে জেলার কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টারের উদ্বোধন এবং করোনাভাইরা সংক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা প্রদান উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারের যে হিসাব তা এতোটুকু সঠিক নয়। তাদের হিসাব একদম ডাহা মিথ্যা কথা। মানুষজন টেস্টই তো করতে পারছেন না। তারা উপজেলা পর্যায়ে টেস্ট দেন না। জেলা পর্যায়ে টেস্ট দেয়, সেখানে গিয়েও মানুষ টেস্ট করতে পারে না। ঢাকায় যে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো আছে সেখানেও দুই ঘন্টা টেস্ট করা হয় বাকী আর হয় না। এখানেই কিন্তু স্ক্রিন আউট করে দিচ্ছে। এর পরেও তারা তথ্যগুলো দেয় সেটা শুধুমাত্র তাদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য, জনগণকে বিভ্রান্ত, প্রতারণা করার জন্য।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার করোনা মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং জনগণের জীবন নিয়ে তারা ছিনিমিনি খেলছে। সরকার তাদের টিকে থাকার জন্য শুধুমাত্র আমলাদের ওপর নির্ভর করছে এবং দেখা যাচ্ছে যে, সেই আমলাদেরই তারা করোনা মোকাবিলার চেষ্টা করছে। ফলে যতটুকু সম্ভাবনা থাকে এটা নিয়ন্ত্রণে আনার সেটি তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যে দুর্নীতি তা বর্ণনার বাইরে।

তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত কয়েকটি হাসপাতালে আইসিইউ বেড না থাকলে তারা (স্বাস্থ্য অধিদফতর) তথ্য দিচ্ছে যে আইসিইউ শয্যা আছে। যেমন আপনার ভোলা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, জামালপুর- স্বাস্থ্য অধিদফরের হিসাবে এই পাঁচ জেলায় করোনা রোগীদের জন্য ২০টি আইসিইউ রয়েছে। কিন্তু আসলে এগুলোতে কোনো আইসিইউ নাই। মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। সিলেটে তারা বলেছে যে, চারটা হাসপাতালে সরকারি হিসাব ১৩৬ জন চিকিৎসাধীন ছিলো রোববার পর্যন্ত। প্রকৃত পক্ষে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে ৪৩৬ জন। তিন শ রোগী নাই-গায়েব।

জিয়াউর রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সরকার ‘নতুন গীত’ গাইছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে জিয়াউর রহমান সম্পৃক্ত ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্য়ায়ের নেতাদের এরকম বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এদের (আওয়ামী লীগ সরকার) কাজ হচ্ছে সারাক্ষণ বিএনপিকে দোষারোপ করা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেবকে কিভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায় তার চেষ্টা করা, কিভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে খাটো করা যায় তার চেষ্টা করা, কিভাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা যায় সেই চেষ্টাই তারা করছে।

তিনি বলেন, কোথাও প্রমাণ করতে পারেনি, কেউ না। আজ পর্যন্ত কেউ এই কথা বলে নাই যে, জিয়াউর রহমান সাহেব সম্পৃক্ত ছিলেন। জিয়াউর রহমান সাহেব তো তখন ডেপুটি চিফ মার্শাল এডমিনিস্টারও ছিলেন না। তিনি সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ছিলেন মাত্র। সেনা প্রধান ছিলেন শফিউল্লাহ সাহেব(কেএম শফিউল্লাহ)। সেই শফিউল্লাহ সাহেব তো গিয়ে খন্দকার মোশতাকে যেতে স্যালুট করেছেন, একে খন্দকার সাহেব(বিমান বাহিনী প্রধান) স্যালুট করেছেন, নেভাল চিফ স্যালুট করেছে। আপনাদের খন্দকার মুশতাক সাহেবের সঙ্গে পুরো ৩১ জনের মন্ত্রিসভা গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের রক্তের ওপর দিয়ে হেটে গিয়ে তারা মন্ত্রিত্বের শপথ নিয়েছেন। এই হত্যাকান্ড তো আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে। সুতরাং ওই মাছ দিয়ে শাখ ঢাকার চেষ্টা করবেন না। নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্যে অন্যকে দোষারোপ করে লাভ নেই। নিজেরা পরিস্কার হউন, নিজেরা পরিচ্ছন্ন হউন, পরিশুদ্ধ হউন। হত্যার রাজনীতি বাদ দেন এবং সন্ত্রাসের রাজনীতি বাদ দেন, জনগনকে প্রতারণা করবার রাজনীতি বাদ দেন। বাদ দিয়ে আপনারা সঠিকভাবে জনগনের যে আকাংখা সেই আকাংখাকে পুরণ করেন।

জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক বক্তব্য রাখেন।###

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন