করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়েছে ফ্রান্সে। গত জুলাইতে ফ্রান্সে করোনার দৈনিক সংক্রমণ সর্বোচ্চ তিন হাজারে পৌঁছেছিল। অগাস্টের গোড়ায় তা ২০ হাজারে পৌঁছে গেছে। প্রতিদিনই সংক্রমণের হার লাফিয়ে বাড়ছে। চিন্তা বাড়িয়েছে ডেল্টা সংস্করণ। তারই মধ্যে নতুন স্বাস্থ্য পাস চালু করার কথা ভাবছে ফরাসি সরকার। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় এই ধরনের পাস চালু হয়ে গেছে। সরকারজানিয়েছে, এবার থেকে বাসে-ট্রেনে উঠলেও ওই পাস দেখাতে হবে।
গত দেড় বছরে করোনার কারণে আরো অনেক দেশের মতোই ফরাসি অর্থনীতিও ধাক্কা খেয়েছে। মাসের পর মাস লকডাউন থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরা। ফরাসি দোকান মালিকদের বক্তব্য, আগে রেস্তোরাঁয় যে পরিমাণ মানুষ আসতেন, করোনার পর তা প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। নতুন পাস-বিধি চালু হলে মানুষের সংখ্যা আরো কমতে পারে বলেও তাদের আশঙ্কা। তবে একই সঙ্গে দোকানদার এবং রেস্তোরাঁ মালিকদের বক্তব্য, করোনার কথা মাথায় রেখে নতুন নিয়ম সকলের মেনে নেওয়া উচিত। নইলে করোনা আটকানো যাবে না।
ফরাসি সরকারের বক্তব্য, চতুর্থ ঢেউয়ে দেশ জুড়ে ডেল্টা সংস্করণ ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন এই সংস্করণ কিছুদিন আগে ভারতে ছড়িয়েছিল। সাধারণ করোনা ভাইরাসের চেয়ে অনেক দ্রুত ছড়াতে পারে নতুন এই ভেরিয়েন্ট। গত এক সপ্তাহে ফ্রান্স তা বুঝতেও পারছে। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। ফলে গোড়াতেই সতর্ক হতে চাইছে ফরাসি সরকার। সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন