বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩১ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মিত বস্তিবাসীদের জন্য ৩০০ ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তরকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মাসে মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বহুতল ভবনে থাকার সুযোগ পাচ্ছে ঢাকায় বসবাসরত বস্তিবাসীরা। এ লক্ষ্যে ১০ হাজার বহুতল ভবন নির্মাণ করছে সরকার। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বস্তিবাসীদের জন্য ৩০০ ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় দফায় বাকি ২৩৩টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হবে। লিফট, জেনারেটর, সৌরবিদ্যুৎ, প্রশস্ত ওয়াকওয়ে, বিদ্যুতের সাবস্টেশন ও সৌন্দর্যবর্ধনের লাইটিংসহ আধুনিকতায় সমৃদ্ধ করা হচ্ছে জায়গাটি।

৬২০ থেকে ৭১৯ বর্গফুট আয়তনের প্রতিটি ফ্ল্যাটে রয়েছে দুটি করে বেডরুম, একটি বারান্দা, একটি ড্রয়িং রুম, বেসিন, রান্নাঘর ও দু’টি বাথরুম। ফ্ল্যাটের দুই পাশে ফাঁকা জায়গা। ফ্ল্যাটগুলো টাইলস করা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যারা ঢাকায় থাকছে তারা ভাড়া দিয়ে থাকবে। বস্তিতে ভাড়া দিয়েই তো থাকতে হয়। নানা অসুবিধায় থাকতে হয়। মাসে, সপ্তাহে, দিনে ভাড়া দিতে পারবে এভাবেই ফ্ল্যাটগুলো করেছি, যাতে সুস্থ্য পরিবেশে থাকতে পারে। যারা বস্তির মধ্যে আছেন তাদের জন্য ভালো আবাসন আমরা করে দেব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বস্তিতে বাস করা কেউ ঘরে ফিরতে চাইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমিসহ ঘর দেব। ছয় মাস যেন তারা চলতে পারে সে ব্যবস্থাও করব। ঘরে ফেরা কর্মসূচি আবার শুরু করব।

২০১৭ সালে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে আরেকটি মানবিকতার নজির সৃষ্টি করলেন তিনি। ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

উল্লেখ্য, সরকারি উদ্যোগে বস্তিবাসীদের জন্য নির্মিত এসব ফ্ল্যাটে আধুনিক সব সুবিধা রাখা হয়েছে। তবে ফ্রি নয়, মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকা ভাড়ায় এখানে থাকবেন নগর জীবনের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত বস্তিবাসীরা।

মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে বস্তিবাসীদের জন্য সর্বমোট ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ১৪৮ কোটি টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হবে আরও ১০০১টি পরিবারকে। এর মধ্য দিয়ে বস্তিতে থাকা ১০ হাজার পরিবার নতুন ফ্ল্যাটে থাকার সুযোগ পাবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
M A Hasmot Ullah ৩ আগস্ট, ২০২১, ১:০০ পিএম says : 0
দলীয় নেতাকর্মীরা দখল করবে নে 90%....
Total Reply(0)
রুহুল আমীন যাক্কার ৩ আগস্ট, ২০২১, ২:২০ পিএম says : 1
খুবই সুন্দর ও মানবিক উদ‍্যোগ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন যে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে বিশেষত জেলা শহরগুলোর চতুর্পার্শ্বে এসব ফ্ল‍্যাট নির্মাণ করে এভাবে ভাড়া দেয়া হোক। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, দুর্নীতিবাজরা যেনো নির্মাণকাজের ঠিকাদারি না পায়। নইলে ওরা আশার গুড়ে বালি ছিটিয়ে আইমিন রডের স্থলে বাঁশ ঢুকিয়ে সব শেষ করে দিবে।
Total Reply(0)
Nasir ৩ আগস্ট, ২০২১, ২:২২ পিএম says : 1
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করি।
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৩ আগস্ট, ২০২১, ২:৩০ পিএম says : 1
আপনি বিশ্ব মানবতার মা জননী। আপনি পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তির মা। হাজারো মানুষ শান্তি বাহিনীর নির্মম নির্যাতন হত‍্যার লাশের রক্তাক্ত নগরীকে শান্তির নগরী করে হাজার হাজার মানুষের জীবন বাচানোর মা। আপনি ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত ভয়ানক গনহত‍্যার স্বীকার লক্ষ লক্ষ রোহিত জনগোষ্ঠীর জীবন বাচানোর মা। বাংলাদেশের হাজারো অসহায় মানুষের মা। আন্তর্জাতিক ভাবে মানবতার মা। বাংলাদেশের মানুষ সুভাগ‍্যবান জাতি আপনার মত নেতা পাওয়াতে। শতাব্দীর পর শতাব্দী অপেক্ষা করে সত্যিকার ভাগ‍্যবান দেশজাতি এই রকম নেতা পেয়ে থাকেন। আপনি বিশ্বের প্রভাবশালী নেতাদের একজন দক্ষিণ এশিয়ার ক‍্যারেশম‍্যাটিক নেতা আপনার ভীষনারী লিডারশিপে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী। রিজার্ভ হাফ ট্রিলিয়নের কাছাকাছি।উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়। আপনার শক্তিশালী সিদ্ধান্ত পদ্ধাসেতু বাংলাদেশের অর্থদিয়ই হবেই হবে।
Total Reply(0)
samrat sheikhj ৩ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৪ পিএম says : 0
এইবার ঘরচাপা না পরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
Total Reply(0)
jack Ali ৩ আগস্ট, ২০২১, ৫:৫৬ পিএম says : 0
যুগ যুগ ধরে ক্ষমতায় থেকেও গৃহহীন মানুষদের কে বাস করার জন্য ঘরবাড়ি দেওয়া হলো না এখন বলছেন যে দেশে একটা লোকও ঘরবাড়ি ছাড়া থাকবে না আমাদের দেশ নাকি সিঙ্গাপুর ক্যানাডা হয়ে গেছে ও দেশের সরকার জনগণের জন্য জীবন দিয়ে দেয় যারা বেকার তাদেরকে বাড়ি দেওয়া হয় বেকার ভাতা দেওয়া হয় এমন ভাবে যাতে তারা সম্মানের সাথে বেঁচে থাকতে পারে ওদেরকে বড়লোক কি গরিব লোক দেখলে বোঝা যায় না আর আমাদের দেশে গরিব লোক দেখলেই বুঝে কি শুকনা বিশ্রি চেহারা আজকেও পথ শিশু সাথে আমার কথা হল ওই ছেলেটা বলল দাদার সাথে থাকে রাস্তার মধ্যে রাস্তার থাকে ওই ছেলেটার এবং ওর দাদার গায়ে প্রচন্ড ময়লা জামা কাপড় শরীরে প্রচন্ড ময়লা. আমি বললাম তোমরা গোসল করো না??? ছেলেটা বলল গোসল করব কিভাবে আমাদের কাপড়চোপড় সব চুরি হয়ে গেছে................. আজকে আল্লাহর আইন দিয়ে দেশ চলে কোন দরিদ্র লোক বাংলাদেশের খুজে পাওয়া যেত না.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন