কুড়িগ্রামের রৌমারীতে স্ত্রীকে অপহরণ ও গুম করার অভিযোগে এক সাবেক সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করেছে রৌমারী থানা পুলিশ।অভিযুক্তের নাম লিটন মিয়া। মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার শাহজাহানপুর থানা থেকে তাকে নিয়ে আসে রৌমারী থানা পুলিশ। এর আগে গত ২০ জুলাই লাকী আক্তারের বড় ভাই হাসানুজ্জামান বাদী হয়ে ওই সেনা সদস্যসহ ৮জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করলে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সেনা সদস্য লিটন মিয়া উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্দা গ্রামের ছেবার উদ্দিনের ছেলে।
গুমের শিকার লাকি আক্তারের বড় ভাই হাসানুজ্জামান বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ওই সেনা সদস্য লিটন মিয়া যৌতুকের জন্য তার স্ত্রী লাকি আক্তারের ওপর নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন।নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে একসময় লাকি বিষয়টি সেনা ইউনিটে মৌখিকভাবে জানান। এতে লিটন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা ও গুমের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। পরে গত শনিবার ওই সেনা সদস্য তার স্ত্রী লাকী আক্তারকে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে ভগ্নীপতি উপজেলার যাদুরচর নতুনগ্রামের জাবেদ আলীর বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর থেকে লাকি আক্তারের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলোনা। পরে লাকির বড়ভাই থানায় একটি অভিযোগ করলে তাকে বগুড়ার শাহজাহানপুর থেকে গ্রেফতার করে।
এদিকে,লাকিকে জীবিত অবস্থায় ফেরত না পেলেও তার লাশ ফেরতসহ এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। এ ব্যাপারে রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন,সাবেক সেনা লিটন মিয়াকে স্ত্রীকে অপহরণের সহায়তার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে রৌমারী থেকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন