শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পায়রা নদীতে মিলছে না ইলিশের দেখা

চরম হতাশায় জেলেরা

মেহেদী হাসান মুবিন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

ভরা মৌসুমেও কাঙিক্ষত ইলিশের দেখা মিলছে না পায়রা নদীর মির্জাগঞ্জের অংশে। আর যা পাচ্ছেন তা দিয়ে হচ্ছে না ট্রলারের খরচ। ফলে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছে জেলেরা।
উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের পায়রাকুঞ্জ ঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, চলতি মৌসুমে ইলিশ শিকারের আশায় প্রতিদিনই জাল, নৌকা, ট্রালার নিয়ে দল বেঁধে নদীতে ছুঁটছেন জেলেরা। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নদী চষে বেড়ালেও মিলছেনা কাঙিক্ষত ইলিশ।
এলাকার জেলে মোসারেফ আকন ও মালেক সিকদার জানান, ইলিশের ভরা মৌসুমে প্রতিদিনই আমরা ৪-৫ জন নদীতে যাই। গড়ে তিন চারটা ইলিশ পাই। যার মূল্য এক হাজার টাকার বেশি না, কিন্তু ট্রালার ও তেলের খরচের পর তিন-চরেশো টাকা থাকে যা দিয়ে পরিবারের বাজারই হয় না। আমাদের একমাত্র পেশা ইলিশ ধরে বিক্রি করা। এই ভরা মৌসুমে মাছ ধরেই আমরা সারা বছরের আয়-রোজগার করি। তাই এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে নৌকা ও জাল কিনে নদীতে নেমেছি। কিন্তু সারাদিন জাল ফেলেও মাছ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
জেলে সোহরাব ফকির বলেন, লকডাউনের মধ্যে আমরা অন্য কোন কাজও করতে পারি নাই। সরকারিভাবে যে সাহায্য পেয়েছি তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এখন আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ইলিশের সংস্কট রয়েছে। এ ছাড়াও অবৈধ বেহুন্দী জালের মাধ্যমে পোনা মাছ নিধন, নদীতে বড় বড় চর জেগে ওঠা ও নদীর মুখ মরে যাওয়ার কারণে ইলিশ মাছ অবাধে যাতায়াত করতে পারছে না। ফলে ইলিশের প্রজনন কম হচ্ছে। তবে কিছুদিনের মধ্যে পায়রা নদীতে আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আমি আশাবাদী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন