শ্রাবণ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ শেষের দিকে। ভরা বর্ষা ঋতুতে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে খুব কম জায়গায়। বর্ষার মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় গতকাল মঙ্গলবারও দেশের বেশিরভাগ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হয়।
গতকাল ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় চট্টগ্রামে ১৯১ মিলিমিটার। এরমধ্যে বেশিরভাগ পরিমাণে বর্ষণ হয়েছে চট্টগ্রামে সোমবার রাতভর। এছাড়া গতকাল কক্সবাজারে ৯৯, কুতুবদিয়ায় ৬৭, ময়মনসিংহে ৩৫, শ্রীমঙ্গলে ৪৩, রাজশাহীতে ৫, সৈয়দপুরে ৫৬, সাতক্ষীরায় ৪২, চুয়াডাঙ্গায় ৫২, বরিশালে ১৫ মি.মি.সহ অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টিপাত হয়।

তবে ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৩৫.৬ এবং সর্বনি¤œ সৈয়দপুরে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৪.৪ এবং সর্বনি¤œ ২৭.১ ডিগ্রি সে.। ঢাকায় তেমন বৃষ্টি ঝরেনি।
আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মুহম্মদ আরিফ হোসেন জানান, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়

হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দেশের অন্যত্র দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
নদীবন্দরে সতর্কতা : দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়া সতর্কবার্তায় জানা গেছে, পাবনা, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।