আশা ছিল ছেলে সন্তান হবে। তবে জন্মের কিছুদিন আগে আল্ট্রাসনোগ্রাফী করে জানা যায়, কন্যা শিশুই হচ্ছে। কন্যা হলে হাসপাতালে ফেলে যাওয়া হবে এ চিন্তা থেকেই হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ভুল ঠিকানা লেখেন তারা। যথারীতি কন্যা শিশু প্রসব করেন অর্চনা বড়–য়া। প্রসবের কিছুক্ষণ পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওয়ার্ডের নার্সদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান মা অর্চনা বড়–য়া ও বাবা সুবোধ বড়–য়া। চোখের পলকেই সটকে পড়েন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা স্বজনরাও।
গত রোববার রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটে এমন ঘটনা। হাসপাতাল থেকে খবর দেয়া হয় থানায়। এরপর পুলিশ ও পৌরকর্মীরা হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে দেয়া ঠিকানা ধরে নবজাতকের বাবা-মাকে খুঁজতে থাকেন। তবে জলদি পৌরসভার যে এলাকায় ঠিকানা দেয়া হয় সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। নবজাতকের বাবা-মায়ের সন্ধান করতেই পার হয়ে যায় ২৪ ঘণ্টা। অবশেষে অর্চনা বড়য়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা রিকশাচালকের সন্ধান পায় পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে নবজাতকের মা-বাবার বাসার আসল ঠিকানার খোঁজ পাওয়া যায়। সোমবার রাতে পুলিশ নবজাতকটি তাদের বাসায় পৌঁছে দেয়। একইসাথে শিশুটিকে সযতেœ লালন-পালনের লিখিত অঙ্গীকারনামাও আদায় করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন