শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রণোদনার ঋণ কোথায় গেল

ব্যাংক-গ্রাহক ভাগবাটোয়ারা, দীর্ঘদিন পর টনক নড়ল অর্থমন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৭ এএম

করোনা মহামারিতে ছোট বড় সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যই ক্ষতির মুখে পড়েছে। আর বিপর্যস্ত অর্থনীতির ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর করোনার শুরুর দিকে একের পর এক প্রণোদনা ঘোষণা করেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে এর থেকে সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য প্রণোদনা মনিটরিংয়ের দায়িত্ব পায় অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক। ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা প্যাকেজের সার্বিক বিষয় অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ যৌথভাবে মনিটরিং করার কথা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রণোদনা প্যাকেজের মোট ব্যয়, অর্থের সংস্থান, মনিটরিং ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি সারসংক্ষেপও পাঠায় অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী সারসংক্ষেপ অনুমোদন দিলেই প্রণোদনা প্যাকেজের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। এর পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর এখন প্রশ্ন উঠেছে প্রণোদানর টাকা গেল কোথায়। কে বা কারা পেয়েছেন এই টাকা। কোথায় বিনিয়োগ করেছেন। আর সবকিছু দেখভালের দায়িত্বে থাকা অর্থমন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক ছিল এতদিন নীরব। গত বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সরকারের আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় দেয়া ঋণের টাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে সরকারের আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় দেয়া ঋণের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অভিযোগের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় যাচাই করবে। তিনি বলেছেন, আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় দেয়া ঋণের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এই টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার প্রশ্নই আসে না। তারপরও বিষয়টি নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। আর দেখভালের দায়িত্বে থাকা আরেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকেরও টনক নড়েছে দীর্ঘদিন পর। চলতি সপ্তাহে প্রণোদনার অর্থের ব্যবহার নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মাঝারি উদ্যোক্তা শহিদুল ইসলাম মুন্না। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে ‘শিরোনামহীন’ নামে নিজস্ব একটি পোশাকের ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। সাইনবোর্ড এলাকায় একটি কারখানা ভাড়া নিয়ে টি-শার্ট, পোলো শার্ট বানিয়ে নিজের দোকানে বিক্রি করতেন। ভালোই চলছিল দিনকাল। কিন্তু বিধি বাম। গত বছর মার্চ থেকে করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দা শুরু হয়। সেই ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতে ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নগর প্লাজায় থাকায় তার দোকান ভেঙে দিয়েছে। এখন সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ দিতে চায় না। শুনেছি করোনায় সরকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কম সুদে ঋণ দিতে প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে। সেই তহবিল ঋণ পেতে ব্যাংকে গেলে জানানো হয়, আমরা সেই ঋণ পাব না। নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে অন্য ঋণ চাইলে এই কাগজ-সেই কাগজ লাগবে বলে অনেক দিন ঘুরিয়েছে। পরে ঋণ আর দেয়নি।

তাসমিয়া আজাদ লাভলী নামের একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা জানান, করোনায় ব্যবসা বিপর্যস্ত। কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনা ঋণের ঘোষণা দিলেন। ভাবলাম, ঋণ নিয়ে কিছুটা হলেও পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব হবে। কিন্তু প্রথমে অগ্রণী ব্যাংক পরে সিটি ব্যাংকে যোগাযোগ করলে তারা জানান তাদের কাছ থেকে আগে যারা ঋণ নিয়েছেন তারা এই সুবিধা পাবেন। আর তাই প্রণোদনা ঋণের আশায় গুড়ে বালি।

অথচ উল্টোটাও আছে। করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিতে পড়েছে, এমন তথ্য দেখিয়ে দেশের শীর্ষ একটি শিল্পগোষ্ঠী সরকারের দেয়া প্রণোদনা তহবিল থেকে কম সুদে ঋণ নেয়। ক্ষতি পোষাতে ঋণ নিলেও শিল্পগোষ্ঠীটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি ব্যাংকের বড় অঙ্কের ঋণ শোধ করে দেয় দিয়েছে।

আবার পোশাক খাতের একজন ব্যবসায়ীও ব্যবসার ক্ষতি পোষাতে প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ নিয়েছেন, একই সময়ে নতুন একটি কারখানাও কিনেছেন ওই ব্যবসায়ী। অন্য আরেকজন উদ্যোক্তা একদিকে নিয়েছেন স্বল্প সুদে ঋণ, অন্যদিকে নির্মাণ করছেন বিদ্যুৎ প্রকল্প। ঋণ নেয়া ওই উদ্যোক্তা আবার শেয়ারবাজারেও বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেছেন এই করোনাকালে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ে প্রণোদনার ঋণ নিলেও এসব বিনিয়োগের টাকা কোথা থেকে এলো, সেটাই বড় প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও কর্মকর্তা ব্যক্তিরা বলছেন, হয়তো ওই গ্রাহক ক্ষতিতে পড়ার মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। নয়তো প্রণোদনার ঋণের টাকায় এসব বিনিয়োগ বা ঋণ শোধ করেছেন।

পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, স্বল্প সুদে এ ঋণের সুবিধা বড় বড় শিল্প কারখানা আর সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারাই পেয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। জানা যায়, বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী শত শত কোটি টাকা এই প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ নিয়েছেন। কেউ নতুন ব্যবসা খুলেছেন, বা অন্যত্র ব্যবহার করেছন। আবার কেউ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছেন। তাই অবশেষে বাংলাদেশ ব্যাংক ধারণা করছে, প্রণোদনার ঋণের বড় একটি অংশেরই অপব্যবহার হয়েছে।

সূত্র মতে, করোনাভাইরাস মহামারিতে অর্থনীতি, জীবন-জীবিকার স্বার্থে বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও বড় অঙ্কের আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়, কিন্তু এর বাস্তবায়ন নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা এবং ক্ষোভ। বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় লক্ষাধিক কোটি টাকার ওই প্যাকেজের অর্থ থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা খুব কমই ঋণ সহায়তা পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। যে কারণে প্যাকেজের অর্থ প্রাপ্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হতদরিদ্র মানুষ থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা। আর অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব এবং দুর্বলতা রয়েছে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, এ প্রণোদনার অর্থক্ষুদ্র, মাঝারি, অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে খুব একটা যায়নি। বড়রাই এই ঋণ পুরোটা নিতে পেরেছে এবং সেটা নিয়ে তাদের ব্যবসায় কাজে লাগিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস মহামারিতে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন খাতে ২৩টি আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। প্রণোদনা প্যাকেজের মোট অর্থের পরিমাণ হলো ১ লাখ ২৮ হাজার ৩শ’ ৩ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্যাকেজ ঘোষণার পর ২০২১ সালে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট প্রণোদনা প্যাকেজের মোট বরাদ্দের প্রায় ৮৩ শতাংশ অর্থই ইতোমধ্যে বিতরণ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি, প্রণোদনা প্যাকেজের প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ গ্রাহক।

মহামারির শুরুতে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান পোশাক কারাখানার বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল সরকার। মালিকদের দাবির মুখে সেই ঋণ আরো বাড়িয়ে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি করা হয়। যদিও এ মহামারিতে ছোট বড় সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যই ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজে দেশের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের জন্য বরাদ্দ হয় ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা জুন পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সঙ্গীতা আহমেদ বলেন, তাদের দশ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা সদস্যদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন এই প্রণোদনার সুবিধা পেয়েছে।

তবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাই প্রণোদনার টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তা নয়; প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষ আর হতদরিদ্র পরিবারের জন্য নগদ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ থাকলেও সবাইকে এই প্রণোদনার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। শুরুতে ৫০ লাখ পরিবারের জন্য নগদ অর্থ বরাদ্দের উদ্যোগ নেয়া হলে তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম আর ত্রæটির কারণে শেষ পর্যন্ত প্রায় ১৪ লাখ পরিবার এ সহায়তা থেকে বাদ পড়ে।

সূত্র মতে, করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসার যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে ছোট ও বড় ব্যবসায়ীরা স্বল্প সুদে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার ঋণ নিয়েছেন। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে গত বছর সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার ঋণ বিতরণ করে ব্যাংকগুলো। আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়ীদের দেয়া হয় ৪ শতাংশ সুদে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। একইভাবে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে গত বছর সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার ঋণ বিতরণ করে ব্যাংকগুলো। আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয় ৪ শতাংশ সুদে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। এসব ঋণের সুদহার ছিল ৯ শতাংশ। বাকি সুদ ভর্তুকি হিসেবে দিয়েছে সরকার।

এদিকে প্রণোদনা ঋণের মোট সুদের অর্ধেক ভর্তুকি হিসেবে দিয়েছে সরকার। জনগণের করের টাকা থেকেই এ ভর্তুকি দেয়া হয়। ঋণ দেয়ার প্রায় এক বছর পর বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ঋণের ব্যবহার খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য কারা ঋণ নিয়েছে ও ঋণের ব্যবহার কোথায় হয়েছে, তার তথ্য চেয়েছে ব্যাংকগুলোর কাছে। ব্যাংকগুলোর কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তথ্য পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তা খতিয়ে দেখা হবে। ঋণের টাকা কারা পেল ও কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে, তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রাহক ঋণ নিয়েছে এমন তথ্য দেখিয়ে ব্যাংকগুলো সুদ ভর্তুকির টাকা নিয়ে গেছে। তাই প্রথমত দেখা হবে আসলেই গ্রাহকের কাছে ঋণ গেছে কি না। এরপর দেখা হবে ওই গ্রাহক ঋণের টাকার ব্যবহার কোথায় করেছেন। কারণ, ঋণের ব্যবহার হওয়ার কথা শুধু চলতি মূলধন হিসেবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকগুলোর কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তথ্য পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তা খতিয়ে দেখা হবে। ঋণের টাকা কারা পেল ও কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে, তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, নগদ অর্থের বিলি-বণ্টনের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা এবং ব্যবস্থাপনার আরো উন্নয়ন দরকার। গত দেড় বছরে যে উদ্যোগগুলো নেয়া হচ্ছে এবং বাস্তবায়নও চলছে কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, বাস্তবায়নটা সুচারুভাবে হচ্ছে না, স্বচ্ছতার সাথে হচ্ছে না।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, রফতানি খাত সুবিধা পাক। কিন্তু দেশের অর্থনীতির ৮৫ শতাংশই হোম গ্রোন। ফলে অবশ্যই এ সুবিধা তাদের পাওয়া উচিত। তিনি বলেন, প্রতি ১০ জনে সাতজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাত (সিএমএসএমই)। এই করোনার সময়ে তারা বেশি সঙ্কটে। তাদেরই এ ধরনের সুবিধা দরকার আগে।

এসএমই উদ্যোক্তা ও এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক রাশেদুল করিম মুন্না বলেন, সরকার প্রণোদনার সুবিধা দিলেও ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন শর্তের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের বেশিরভাগ উদ্যোক্তা এ সুবিধা নিতে পারেনি। অথচ তাদের দরকার ছিল বেশি।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস মহামারি কবে শেষ হবে সেটি এখনো কেউ বলতে পারছেন না। এ অবস্থায় সরকারি প্রণোদনা বা নগদ আর্থিক সহয়তার যে প্যাকেজই হোক তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন না হলে সমাজে বৈষম্য আরো বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Md Faruque Ahmed ৫ আগস্ট, ২০২১, ১:০১ এএম says : 0
What a shameful activities! Same criminal secret activities are happening in our country regularly but nobody dare to disclose. Everything is managed efficiently using huge money & power. Accidentally some criminal activities are disclosed due to misunderstanding.
Total Reply(0)
Nazrul Islam ৫ আগস্ট, ২০২১, ১:০১ এএম says : 0
বিদেশ থেকে টাকা ধার করে এনে মেগা প্রকল্পে অর্থ ব্যয়ে রাস্তা ঘাট সেতু তো দৃশ্যমান হবেই। সেই সুযোগে কিছু লোক কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করবে এবং সেকেন্ড হোম ও বেগম পাড়া বানাবে আর মাঝে মাঝে চা পান করতে সিঙ্গাপুর ব্যাংকক দিল্লি যাবে।অসুস্থ হলে কেউ যাবে লন্ডনে চেক আপ করতে আর কেউ বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালের বারান্দায় মরবে। আর যাদের নিয়তি নদীর ভাঙ্গনে বা বন্যায় গৃহহীন তাদের ভিক্ষার হাত প্রসারিত থাকবেই।ধনী আরো ধনী হবে ,আর গরীব আরো গরীব হতে থাকবে।
Total Reply(0)
Rumi ৫ আগস্ট, ২০২১, ১:০২ এএম says : 0
তারা তো এসব সাধারণ মানুষকে ঋণ দিয়ে কিছু পাবে না। বড় বড় রাঘব বোয়ালেরা যারা টাকা নিয়ে ফেরত দেবে না জেনেও শুধুমাত্র তাদেরকেই ঋণ দিতে এরা সদা প্রস্তুত!
Total Reply(0)
Valorous Respondent ৫ আগস্ট, ২০২১, ১:০৩ এএম says : 0
This is very sad news
Total Reply(0)
কাওসার আহমেদ ৫ আগস্ট, ২০২১, ১০:৩৮ এএম says : 0
নগদ অর্থের বিলি-বণ্টনের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা এবং ব্যবস্থাপনার আরো উন্নয়ন দরকার।
Total Reply(0)
মাহমুদ ৫ আগস্ট, ২০২১, ১০:৩৮ এএম says : 0
এটা সবাই জানে। কিন্তু না জানার ভান করছে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন