চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ পাঁকার পদ্মা নদীর তেলিখাড়ি ঘাট এলাকায় বজ্রপাতে ১৭ জন বরযাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। বুধবার দুপুরে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এক মূহুর্তে শোকের মাতমে পরিণত হয়েছিলো সকল আনন্দ-আয়োজন।
এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক জানিয়েছেন নেটিজেনরা। নিহতদের পরিবারের প্রতি জানিয়েছেন সমবেদনা। পাশাপাশি বজ্রপাত প্রতিরোধে সরকারের আধুনিক উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা নিয়ে গোলাম রাব্বিানী লিখেন, ‘কি মর্মান্তিক! নিহতদের আত্মার শান্তি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি।’
রেখা ফারজানা লিখেন, ‘ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ সবাইকে মাফ করে বিনা হিসেবে জান্নাত নসিব করু, আমিন।’
ঘটনাটিকে হৃদয়বিদারক উল্লেখ করে শাখাওয়াত হোসাইন লিখেন, ‘খুবই হৃদয়বিদারক ঘটনা। একেকজন মানুষের মৃত্যুতে একটা ফ্যামিলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেউ হয়েছে এতিম, কেউ বিধবা। এই হঠাৎ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রত্যেকটা ফ্যামিলি চরম দূর্দশার মধ্য দিয়ে যাবে। আশা করছি, সরকার থেকে তাদের সবাইকে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।’
বজ্রপাতকে বাংলাদেশের জন্য একটা বড় দূর্যোগ উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন লিখেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন। ব্রিটিশ আমলে বসানো বজ্রপাত প্রতিরোধী টাইটেনিয়াম পিলার তুলে ফেলার ফলে আজকে আমরা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। বজ্রপাত প্রতিরোধে সরকারের আধুনিক কোন উদ্যোগও নাই, যার মাধ্যমে আমরা এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি। বজ্রপাত বাংলাদেশের একটা বড় দূর্যোগে পরিণত হয়েছে। দ্রুতই সরকারকে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
অভিযোগ করে আবদুল্লাহ আল মামুন লিখেন, ‘কি করুণ মর্মান্তিক মৃত্যু! বজ্রপাতে চির বিদায়ের এত এত করুণ গল্প, এত বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর পরও বিষয়টি খুব একটা দৃষ্টি কাড়তে পারছে না উর্ধ্বতন মহলের৷ দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর খবর যেভাবে গণমাধ্যম বা সাধারণ মানুষের আলোচনার বিষয় হয়েছে, সেরকম গুরুত্ব পাচ্ছে না বজ্রপাতে মৃত্যু!’
এমডি আল আমিন লিখেন, ‘মানুষের কোন হাত নেই, আল্লাহর হুকুমেই সব কিছু হয়। আল্লাহর ক্ষমতার কাছে মানুষের ক্ষমতা তুচ্ছ। আল্লাহর কাছে তাদের পারলৌকিক শান্তি ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আমীন।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন