মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট (ভারতীয়) ছড়িয়েছে ১৩৫টি দেশে

করোনা সংক্রমণ ২০ কোটি ছাড়াতে পারে আগামী সপ্তাহে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৫ এএম

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাসের অত্যন্ত সংক্রামক ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখন বিশ্বের ১৩৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আগামী সপ্তাহে ২০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

গত ৩ আগস্ট ডবিøউএইচও’র প্রকাশিত সাপ্তাহিক মহামারি সংক্রান্ত আপডেট জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ১২২টি দেশে বিটা ভ্যারিয়েন্ট এবং গামা ভ্যারিয়েন্ট ১১টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৮২টি দেশ, অঞ্চল বা টেরিটরিতে আলফা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, যখন ১৩৫টি দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ঘটনা ধরা পড়েছে, যা প্রথম ভারতে উদ্ভাবিত হয়েছিল।

২৬ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়েছে, নতুন বৈশ্বিক সংক্রমণ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বাড়ছে, গত সপ্তাহে ৪০ লাখেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘এ ক্রমবর্ধমান প্রবণতা মূলত পূর্ব ভ‚মধ্যসাগর এবং পশ্চিমা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় যথাক্রমে ৩৭ শতাংশ এবং ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে’।
সামগ্রিকভাবে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা ৮ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাগে ৬৪ হাজারেরও বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
তবে, পশ্চিমা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং পূর্ব ভ‚মধ্যসাগরীয় অঞ্চলগুলোয় আগের সপ্তাহের তুলনায় নতুন মৃত্যু যথাক্রমে ৪৮ শতাংশ এবং ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্বব্যাপী রিপোর্ট করা সংক্রমণের সংখ্যা এখন প্রায় ১৯ কোটি ৭০ লাখ এবং ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর সংখ্যা ৪২ লাখ। আপডেটে বলা হয়েছে, ‘যদি এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে, বিশ্বব্যাপী রিপোর্ট করা সংক্রমণের সংখ্যা আগামী সপ্তাহের মধ্যে ২০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে’।

দেশ পর্যায়ে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে (৫৪৩,৪২০ জন; বৃদ্ধি ৯ শতাংশ), ভারত (২৮৩,৯২৩ জন; বৃদ্ধি ৭ শতাংশ), ইন্দোনেশিয়া (২৭৩,৮৯১ জন; ৫ শতাংশ হ্রাস), ব্রাজিল (২৪৭,৮৩০ জন; ২৪ শতাংশ হ্রাস) এবং ইরান (২০৬,৭২২ জন; বৃদ্ধি ২৭ শতাংশ)। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে আগের সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমণ ৯ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে (৮,৪১,০০০-এর বেশি), যখন সাপ্তাহিক মৃত্যুর সংখ্যা আগের সপ্তাহের মতোই ছিল (২২,০০০ মৃত্যু)।

এ অঞ্চলে সর্বাধিক সংখ্যক নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ভারতে (২৮৩,৯২৩ নতুন মামলা; প্রতি ১০০,০০০ এ ২০.৬ নতুন রোগী; বৃদ্ধি ৭ শতাংশ), ইন্দোনেশিয়া (২৭৩,৮৯১ নতুন রোগী; প্রতি লাখে ১০০.১ জন; হ্রাস ৫ শতাংশ) এবং থাইল্যান্ড (১১৮,০১২ নতুন সংক্রমণ; প্রতি লাখে ১৬৯.১ জন; বৃদ্ধি ২৬ শতাংশ)। ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডে সংক্রমণ এই অঞ্চলের ৮০ শতাংশ।

ইন্দোনেশিয়া থেকে সর্বাধিক সংখ্যক নতুন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে (১২,৪৪৪ নতুন মৃত্যু; ১০০,০০০ প্রতি ৪.৫ নতুন মৃত্যু; ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি), ভারত (৩,৮০০ নতুন মৃত্যু; ১০০,০০০ প্রতি এক নতুন মৃত্যুর কম; ৪৫ শতাংশ হ্রাস), এবং মিয়ানমার ( ২৬২০ নতুন মৃত্যু; ১০০,০০০ প্রতি ৪.৮ নতুন মৃত্যু; ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি)
ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার এবং ভ্যাকসিনের বৈষম্যের ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্রে, ডবিøউএইচও কম এবং উচ্চ-আয়ের দেশগুলোতে টিকার স্তরের বৈষম্য নিয়ে উদ্বেগের সাথে কমপক্ষে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ ‘স্থগিত’ রাখার আহŸান জানিয়েছে।

ডবিøউএইচও-এর মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম গেব্রেইয়াসুস বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উচ্চ আয়ের দেশগুলো এখন প্রতি ১০০ জনের জন্য প্রায় ১০০ ডোজ দিচ্ছে, কিন্তু সরবরাহের সঙ্কটে নিম্ন-আয়ের দেশগুলো প্রতি ১০০ জনের জন্য মাত্র ১.৫ ডোজ দিতে পেরেছে। তিনি বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ ভ্যাকসিন উচ্চ আয়ের দেশে যাওয়া পরিবর্তে নিম্ন আয়ের দেশে যাওয়ার জন্য আমাদের একটি জরুরি কর্মকাÐ প্রয়োজন।
ডবিøউএইচও প্রধান বলেছেন, ‘সে অনুযায়ী ডবিøউএইচও অন্তত সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত বুস্টার ডোজের ওপর স্থগিতাদেশের আহŸান জানিয়েছে, যাতে প্রতিটি দেশের কমপক্ষে ১০% জনসংখ্যাকে টিকা দেওয়া যায়’। সূত্র : পিটিআই, দ্য ইকোনোমিক টাইমস।

 

New layer...
 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Shanto ৬ আগস্ট, ২০২১, ১০:৪৫ এএম says : 0
শয়তান, শয়তানের বাচ্চা, শয়তানের এজেন্ট, শয়তানের দালাল, শয়তানের গোলামরা সমস্ত ধরনের মিথ্যা ভন্ডামি প্রতারণা শোষণ জুলুম বিষ এর উৎস। এদেরকে বিশ্বাস করা মানে জাহান্নামের আগুনে নিজেদেরকে নিক্ষিপ্ত করা। এরা কথিত মিথ্যা ভাইরাসের নাম দিয়ে কথিত মিথ্যা লকডাউন দিয়ে কথিত মিথ্যা ভাইরাসের বিষাক্ত ভ্যাকসিন এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি দেশের শত শত হাজার হাজার লক্ষ কোটি মানুষদেরকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আল্লাহ যদি এদের ধ্বংস না করে এদের থেকে মুক্ত হবার আর কোন পথ নাই কারণ সাধারন জনগণ এদেরকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে।
Total Reply(0)
Shanto ৬ আগস্ট, ২০২১, ১০:৪৬ এএম says : 0
কথিত ভাইরাস থেকে লক্ষ কোটি গুণ বিষাক্ত বিষ/ সবচাইতে ক্ষতিকর প্রাণী হচ্ছে যত সব বড় বড় মিথ্যুক ভন্ড প্রতারক বাটপার শোষক জালেম শ্রেণীর মানুষের রূপ ধারী অমানুষরা - বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান। যারা অসংখ্য ভাবে তাদের মিথ্যা ভন্ডামি প্রতারণার মাধ্যমে এই পৃথিবীর হাজার লক্ষ কোটি মানুষদের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করে যাচ্ছে যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। যদি লকডাউন দিতে হয় যদি ভ্যাকসিন দিতে হয় তাহলে ঐ সকল মানুষের রূপ ধারী অমানুষদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হোক এবং ওদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হোক। কারণ যত দিন ওরা এই পৃথিবীতে আছে ততদিন পর্যন্ত এই পৃথিবীতে ইনসাফ মানবতা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন