বঙ্গবন্ধু ইংরেজ আমলে প্রতিষ্ঠিত বিচার ব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মানুষ যেন সহজে বিচার পায় সেই ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। এ কথা বলেছেন আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী।
গত শুক্রবার চট্টগ্রাম বিভাগের বিচারকদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস) এর আয়োজনে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বিচার প্রার্থীদের মেডিয়েশনের (মধ্যস্থতা) মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসায় উদ্বুদ্ধ করতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেওয়ানি, পারিবারিক ও অর্থঋণ আদালতগুলোর মামলায় আবশ্যিকভাবে মেডিয়েশন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। এটি বিচারকদের জন্য আবশ্যিক পালনীয় কর্তব্য। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট থেকে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ইংরেজ আমলে প্রতিষ্ঠিত বিচার ব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মানুষ যেন সহজে বিচার পায় সেই ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। আমি মনে করি একমাত্র মেডিয়েশন পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে এবং কম খরচে মানুষকে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পারে। হানাহানিমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে পারে। তাই মামলাজট নিরসন করে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্খিত সোনার বাংলা গড়তে মেডিয়েশন পদ্ধতি প্রয়োগের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে বিরোধ মীমাংসার জন্য মেডিয়েশন পদ্ধতি সর্বোত্তম। কারণ মেডিয়েশন পদ্ধতিতে বিরোধ মীমাংসা হলে উভয়পক্ষ বিজয় নিয়ে আসে।
কেউ পরাজিত হয় না। মেডিয়েশন পদ্ধতিকে বিচার ব্যবস্থায় ফলপ্রসূ করতে বিচারক ও আইনজীবীদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান তিনি। ভার্চুয়ালি এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টর অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কুরিয়ান জো সেফ, আফ্রিকা-এশিয়া মেডিয়েশন এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মেডলিন কিমিই, বিমসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী, আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষক অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর তনুশ্রী রায়, প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তী, চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান বক্তব্য রাখেন। দুই দিনব্যাপি এ কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিভাগের ৪০ জন বিচারক অংশগ্রহণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন