শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গমাতা ছিলেন অন্যতম অগ্রদূত : প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২১, ১০:৫২ এএম

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে অন্যতম অগ্রদূত ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। মো. আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের জন্ম। তার ডাকনাম ছিল রেণু। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা।

প্রেসিডেন্ট বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি তিনি বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য ও সাহস নিয়ে মোকাবিলা করতেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী হওয়ার পর তার জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। তিনি কেবল জাতির পিতার সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামেও তিনি ছিলেন অন্যতম অগ্রদূত। প্রেসিডেন্ট এ মহীয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে অসংখ্যবার কারাবরণ করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব সেই কঠিন দিনগুলো দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। পরিবারের দেখাশোনার পাশাপাশি স্বামীর মুক্তির জন্য মামলা পরিচালনা, দলের সাংগঠনিক কাজে পরামর্শ ও সহযোগিতা দান সবই তাকে করতে হয়েছে। তিনি সংগঠনের নেতাকর্মী ও গরিব আত্মীয়-স্বজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ অর্থনৈতিক সংকটে মুক্তহস্তে দান করতেন।

প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীতে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য পাঁচ জন বিশিষ্ট নারীকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব পদক প্রদান একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের নেপথ্যেও ছিলেন তিনি। তারই পরামর্শে বঙ্গবন্ধু হৃদয় থেকে উৎসারিত অলিখিত এ ভাষণ দেন। দেশ ও জাতির জন্য অপরিসীম ত্যাগ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতা তাকে বঙ্গমাতায় অভিষিক্ত করেছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব বাঙালির অহংকার, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস।

আবদুল হামিদ বলেন, বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কার মধ্যেও তিনি অসীম ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও পরোপকারী। পার্থিব বিত্ত-বৈভব বা ক্ষমতার জৌলুস কখনও তাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পত্নী হয়েও তিনি সবসময় সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে তিনি ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। জাতির ইতিহাসে যা এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন প্রেসিডেন্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন