বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জাতি গঠনে কাজ করবে ১৬ হাজার কিশোর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

ফেসবুকে সক্রিয় একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপ সম্পর্কে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে অবগত করেন একজন নাগরিক। গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনের নাম-পরিচয়ও উল্লেখ করেন তিনি। এরপর উল্লিখিত ফেসবুক গ্রুপটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। সম্প্রতি ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় তারা সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে গ্রুপের শতাধিক সদস্য ছেলে-মেয়ে রাস্তায় নেমে যান চলাচল বন্ধ করে তাদের গ্রুপের নামে স্লোগান দিতে থাকে। কিছুক্ষণ পর তারা সেখান থেকে সরে পড়ে।

গতকাল রোববার পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা এ তথ্য জানান। তিনি জানান, তথ্যদাতার কাছ থেকে ওই বার্তাটি গ্রহণ করে রমনা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলামের কাছে পাঠানো হয়। এরপর তথ্যটি যাচাই শেষে ওসি জানান, গ্রুপটি তার এলাকায় সক্রিয় নয়।
এরপর বিষয়টি খিলগাঁও থানার ওসি মো. ফারুকুল আলমকে পাঠালে তিনিও খোঁজ-খবর নিয়ে জানান, গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন এডমিন তার থানার সীমানার কাছাকাছি রাজধানীর রামপুরা এলাকায় থাকেন। এরপর তথ্যটি রামপুরা থানার ওসি আব্দুল কুদ্দুস ফকিরকে পাঠালে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।
বার্তা পেয়ে গত শুক্রবার রামপুরার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রুপটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত দুজনকে আটক করে পুলিশ। আটক দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর। গ্রুপ মেম্বারদের একটি বড় অংশই সচ্ছল পরিবারের বখে যাওয়া ছেলে-মেয়ে বলে জানায় পুলিশ।
ফেসবুক গ্রুপটির বিপুল সংখ্যক সদস্য ও তার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের পরামর্শে এটি বিলুপ্ত না করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে জনকল্যাণ ও দেশ গঠনমূলক কাজে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সন্তানদের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা পেজটির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। জাতি গঠনমূলক ইতিবাচক কাজে পেজটি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করবে। এ বিষয়ে কিশোর ও অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসে তাদের প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করেছে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।
এদিকে মুচলেকা নিয়ে আটক দুই কিশোরকে অভিভাবক ও এলাকার জনপ্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে সমন্বয় করেছেন রামপুরা থানার এসআই মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। তাকে সহায়তা করছেন রামপুরা থানার ওসি আব্দুল কুদ্দুস ফকির।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন