শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বলসোনারোর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ অ্যামাজনবাসীর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২১, ৭:০১ পিএম

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করেছে অ্যামাজনের বাসিন্দারা। গণহত্যার অভিযোগও উঠেছে। আন্তর্জাতিক আদালতের ফৌজদারি বিভাগের দ্বারস্থ হওয়া ব্রাজিলের অ্যামাজনের বাসিন্দাদের একটি গ্রুপের অভিযোগ, জাইর বলসোনারো একদিকে যেমন অ্যামাজন ধ্বংস করছেন, তেমনই অ্যামাজনে বসবাসকারী জনজাতিগুলিকেও শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছেন। আইনের ধোঁয়াশা তৈরি করে তাদের জমি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। যার ফলে লড়াই হচ্ছে। মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। একেই গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছেন অ্যামাজনের বাসিন্দারা।

আন্তর্জাতিক সংজ্ঞায় গণহত্যা বা জেনোসাইড শব্দটির অর্থ কোনো গোষ্ঠী বা জাতি অথবা ধর্মীয় সম্প্রদায়কে মারা বা মারার চেষ্টা। ২০০২ সালের রোম স্ট্যাটিউট অনুসারে এই সংজ্ঞা নির্ধারিত হয়। একই সঙ্গে মানবজাতি এবং মানবাধিকারের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়টিও সেখানে ঢোকানো হয়। আন্তর্জাতিক আদালতে অ্যামাজনের নাগরিকরা যে অভিযোগ জানিয়েছেন, সেখানে ওই স্ট্যাটিউটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অ্যামাজনের প্রায় সমস্ত গোষ্ঠীর প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি হয়েছে এপিআইবি বলে একটি সংগঠন। মামলাটি তারাই করেছে। তাদের অভিযোগ, দিনের পর দিন ধরে বলসোনারো অ্যামাজনের বাসিন্দাদের অপমান করেছেন। তাদের অধিকারের প্রশ্ন সামনে এলেই তিনি চিড়িয়াখানার জন্তুদের সঙ্গে তাদের তুলনা করেছেন। একবার নয়, বারবার। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, অ্যামাজনের জনগোষ্ঠীদের জন্য চিহ্নিত জায়গায় অবাধে খনি তৈরি করতে দিয়েছেন বলসোনারো। গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন। অ্যামাজনের জনগোষ্ঠীর জঙ্গলের অধিকার আছে। সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাদের জন্য জায়গা চিহ্নিত করার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

এপিআইবি-র অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, খনির মালিকরা তাদের এলাকায় এসে কাজ করতে গেলে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অ্যামাজনের জনগোষ্ঠীর বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার দায় বলসোনারোকে নিতে হবে। তিনি পরিকল্পনামাফিক জনগোষ্ঠীগুলিকে ধ্বংস করতে চাইছেন। সে কারণেই তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক আদালতে এটাই প্রথম বলসোনারোর বিরুদ্ধে মামলা নয়। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা হয়েছিল। অ্যামাজনে আগুন লাগার পিছনে বলসোনারোর হাত আছে, এমন অভিযোগ উঠেছিল। অ্যামাজন ধ্বংস করে ওই এলাকা তিনি শিল্পপতিদের হাতে তুলে দিতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। হেগের আন্তর্জাতিক আদালত জানিয়েছে, নতুন মামলাটিকে পুরনো মামলাটির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। মামলার শুনানি শুরু হবে বলেও আদালতের তরফে জানানো হয়েছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা একাধিক সংগঠনের দাবি, বলসোনারোর আমলে ব্রাজিলের অ্যামাজনের অনেকটাই ধ্বংস করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নিজে প্রকাশ্যে বলেছেন, অ্যামাজন রক্ষা করতে গেলে উন্নয়নের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। সূত্র : ডয়চে ভেলে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন