জাতীয় পর্যায়ে সরকারের টিকাদান কর্মসূচির সঙ্গে আগেই যুক্ত হয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। তারই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে টিকাদান ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছে সংস্থাটি। ’কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন ফর রোহিঙ্গা কমিউনিটি’ শিরোনামে এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি (এইচসিএমপি)।
এই দিন কক্সবাজারের উখিয়াতে অবস্থিত ক্যাম্প ১ ইস্ট, ৮ ইস্ট ও ১৩ নম্বরে ব্র্যাকের প্রশিক্ষিত নার্সগণ রোহিঙ্গাদের মাঝে টিকা প্রদান করে। আগামী ১৮ই আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। ব্র্যাকের উদ্যোগে প্রতিদিন তিনটি ক্যাম্পে মোট ৪৫০ জনকে টিকা প্রদানের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
সরকারী সূত্র অনুযায়ী, আপাতত ৫৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিদেরকে টিকা প্রদান করা হবে। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয় নেওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে যাদের ‘পরিবার পরিচিতি নম্বর’ রয়েছে তারা এই টিকা দিতে পারবেন।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের এই সম্পর্কিত তথ্য ও নির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করবেন ব্র্যাকের মাঠ পর্যায়ের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা। দেশের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি রোহিঙ্গাদেরকেও টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়ে সরকারের সহযোগিতায় ব্র্যাক এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
ক্যাম্প-১ ইস্টে অবস্থিত ব্র্যাক প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে টিকা নিতে আসা রোহিঙ্গা নারী মরিয়ম খাতুন (৫৭) তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, এখানে সুশৃঙ্খল পরিবেশে কোন ঝামেলা ছাড়াই টিকা প্রদান করতে পেরে আমি খুবই খুশী। আমি অন্যদেরকেও এই ব্যাপারে উৎসাহিত করব।
এই প্রসঙ্গে ব্র্যাক এইচসিএমপি এর এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক বলেন, কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্র্যাক শুরু থেকেই সরকারের পাশে ছিল। যা এখনও অব্যাহত আছে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের টিকাদান কার্যক্রমকে জোরদার করতে ব্র্যাক এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের টিকাদানের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।
প্রসঙ্গত: সরকার প্রথম ধাপে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন