শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ব্রহ্মপুত্রের উপনদীর পানি আটকে দিল চীন : উদ্বিগ্ন ভারত

প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৭ পিএম, ১ অক্টোবর, ২০১৬

পানিপ্রবাহে প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াতে সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিলের কথা ভাবছে ভারত। কিন্তু তারই মধ্যে পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ তৈরির জন্য ব্রহ্মপুত্রের একটি উপনদীর পানি আটকে দিল চীন। এই ঘটনা ভারতের কাছে যথেষ্টই উদ্বেগের। কারণ, এর প্রভাব ব্রহ্মপুত্রের নিম্ন অববাহিকার দেশ ভারত ও বাংলাদেশে পানিপ্রবাহের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
চীনে ব্রহ্মপুত্র ইয়ারলাঙ জ্যাঙবো নামে পরিচিত। তিব্বতের জিগাজে এই নদের উপনদী জিয়াওবুকু নদীতে তৈরি হচ্ছে চীনের সবচেয়ে ব্যয়বহুল লালহো প্রকল্প। মোট লগ্নির পরিমাণ ৭৪০ মার্কিন ডলার। প্রকল্পের প্রশাসনিক বিভাগের প্রধান ঝ্যাং ইয়ুনবাওকে উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে চীনের সরকারি সংবাদসংস্থা জিনহুয়া। এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪-তে। শেষ হওয়ার কথা ২০১৯-এ।
তিব্বতের জিগাজে সিকিমের খুব কাছেই। এখান থেকেই অরুণাচল প্রদেশে ঢুকেছে ব্রহ্মপুত্র। এই উপনদীর পানি বাঁধ দিয়ে আটকে দেয়ার প্রভাব নিম্ন অববাহিকার ভারত ও বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্রের পানিপ্রবাহে কতটা প্রভাব ফেলবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত বছরই কাজ করতে শুরু করেছে তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর গড়ে ওঠা চীনের জ্যাম পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প। ১.৫ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্প তিব্বতে বৃহত্তম। এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও চীন জানিয়েছে, প্রকল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভারতের উদ্বেগের কথা মাথায় রাখা হয়েছে। ভারতের আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে চীন আশ্বাস দিয়ে বলেছে, জ্যাম প্রকল্পের বাঁধ পানি ধরে রাখার জন্য তৈরি হয়নি।
চীনের দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের মূল প্রবাহে আরও তিনটি পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
গত মার্চে ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদমন্ত্রী সানওয়ার লাল জাঠ এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, চীনের ওই বাঁধগুলোর প্রভাব সম্পর্কে ভারত উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে।
উল্লেখ্য, ভারত ও চীনের মধ্যে কোনও পানিচুক্তি নেই। তবে দুই দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলির বিষয়ে ভারত ও চীনের একটা এক্সপার্ট লেভেল মেকানিজম রয়েছে। আন্তঃসীমান্ত নদীগুলো সম্পর্কে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে ভারত ও চীন ২০১৩-র অক্টোবরে একটি সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষর করেছিল। সূত্র : এবিপ আনন্দ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Munna ২ অক্টোবর, ২০১৬, ১:৪৯ পিএম says : 0
kisu bolar nai
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন