সারাবিশ্ব করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত। এ থেকে মুক্তির পথ আমাদের সবাইকে খাঁটি দিলে তওবা করে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করা। করোনার কারণে ১৮ মাস যাবত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষাব্যবস্থা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি লক্ষ্য করে কওমি মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। আজ শনিবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলার কাউন্সিল অধিবেশনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল হাদিস হাফেজ মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম এসব কথা বলেন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছেঃ। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলার সহ-সভাপতি মাওলানা নজির আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমানের পরিচালনায় বিকেল ৩টায় কুমিল্লাস্থ মদিনাতুল উলুম মিলনায়তনে এই কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদিস হযরত মাওলানা মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যখন করোনা মহামারিতে পুরো জাতি আতঙ্কিত ছিল। সেই সময় সরকার হাফেজি মাদরাসাসহ সকল কওমি মাদরাসা খুলে দিয়েছিল। কোরআন তেলাওয়াতের বরকতে আস্তে আস্তে করোনা কমতে ছিল। আমরা আশাবাদী এখনোও যদি হাফিজি মাদরাসাসহ সকল কওমি মাদরাসা সরকার খুলে দেয় তাহলে করোনা থেকে আমরা মুক্তি পাবো। ইনশাআল্লাহ। আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা চৌধুরী মোহাম্মদ হাশেম, মাওলানা সারোয়ারুল আলম ভূঁইয়া, মাওলানা মাহমুদুল হাসান জিহাদী, মাওলানা নুরুল হক সিরাজী, মাওলানা জসিম উদ্দিন বিজয়পুরী ও হাফেজ ইজহারুল হক। নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পাবজিসহ বিভিন্ন গেমসে আসক্ত হয়ে পড়েছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় অবস্থায় আছেন। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের প্রতি লক্ষ্য রেখে গার্মেন্টস, শিল্প-কলকারখানা ও মার্কেট- শপিংমলের মত শর্তসাপেক্ষে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদেরকে দ্রুত সময়ে ভ্যাকসিন প্রদান করে কওমি মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন