ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আর এতে করে নদী তীরবর্তী মানুষ নতুন করে বন্যার আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। শুক্রবার ভোর রাত থেকে পানি বাড়তে থাকায় ইতিমধ্যে তিস্তার তীরবর্তী বিভিন্ন চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদীর উভয় তীরে তৃতীয় দফা ভাঙন শুরু হয়েছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামারী জেলার জলঢাকা, ডিমলা, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম, কালিগঞ্জ, হাতিবান্ধা, আদিতমারী উপজেলা, রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার নদী তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ তাদের ঘর-বাড়ি থেকে মালামাল সরিয়ে নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে লালমনিরহাট জেলার পাট গ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী, পাটিকাপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ডাউয়াবাড়ী, নোহালী, ভোটমারী ও চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার পলাশী ও মহিষখোচা, সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তাবাজারসহ নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। নদী ভাঙনের ফলে এসব এলাকার প্রায় পাচঁশতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।
নীলফামারী উপজেলার ডিমলা উপজেলার ঝাড় শিঙ্গেশ্বর,কিছামত ছাতনাই, পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, চর খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, ঝুনাগাছ, বাইশ পুকুর, ভেন্ডাবাড়ি, চাঁপানীর ছাতুনামা কেল্লারপাড়া, জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা, হাবু, ছোট রুপাই, বড়াইবাড়ি, নোহালী, কচুয়া, লক্ষীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলি, শংকরদহ, বাগেরহাট আশ্রয়ন, পূর্ব ইচলি, কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা, মটুকপুর, চিলাখাল, খলাইরচরসহ নোহালীর মিনার বাজার, কচুয়াচর, বৈরাতী বাঁধের ধার, চর নোহালী, বাগডহরা, মর্নেয়া ইউনিয়নের মর্নেয়াচর, তালপট্টি, আলাল চর, নরসিং চর, গজঘন্টা ইউনিয়নের কালির চর, ছালাপাক, গাউছিয়া বাজার, জয়দেব, মইশাসুর, রামদেব চর, আলমবিদিতর ও গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের নিম্ন এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। সহ কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের নিম্নাঞ্চল, টেপামধুপুর, মধুপুর এবং পীরগাছা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানকার মানুষ বাড়ির মালামাল ও গবাদি পশু নিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শুরু করেছে। নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে এসব এলাকায় আবারো নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এসব এলাকার অধিকাংশেই ইতিমধ্যে বানের পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক বাড়িই এখন হাঁটু পানির নিচে অবস্থান করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন