বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

পার্চড

প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ভারতের রাজস্থান রাজ্যের অনগ্রসর একটি গ্রাম উঝাস। এই গ্রামের চার নিগৃহীত আর বঞ্চিত নারীর গল্প এটি। এরা কোন না কোন ভাবে প্রাচীন ধ্যান ধারণা, সামাজিক বৈষম্য আর নির্যাতনের শিকার। এর প্রথম জন হল রানি (তনিস্থ চ্যাটার্জি) তার জীবনের অর্ধেকটাই কেটেছে বৈধব্যের যন্ত্রণা সয়ে। এখন তার একমাত্র প্রচেষ্টা তার ছেলে গুলাবকে (ঋদ্ধি সেন) পাশের গ্রামের সুন্দরী পাত্রী জানকীর (লেহের খান) সঙ্গে বিয়ে করানো; জানকী হচ্ছে দ্বিতীয়জন। রানির বান্ধবী লাজ্জো (রাধিকা আপতে) তারই মত নির্যাতিত এক নারী। তারা দুজনই স্থানীয় এক উদ্যোক্তা কিষণের (সুমিত ব্যাস) হয়ে কাজ করে। লাজ্জোর সব সমস্যার কারণ সে এখনও মা হতে পারেনি, প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে সে। তার ওপরে তার স্বামী মনোজ ভীষণ রকম মদ্যপ; মাতাল হলেই অত্যাচারের খড়গ নেমে আসে লাজ্জোর ওপর। চতুর্থ জন হচ্ছে বিজলী (সুরভিন চাওলা)। বিজলী এলাকার উত্তেজক নাচের শিল্পী। সুতরাং পুরুষ সে বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত সবাই তার কাছে বিনোদনের আশায় আসে। শুধু নাচ নয় অন্যভাবেও সে পুরুষের চাহিদা মেটায়। এই গ্রামের পুরুষরা সাধারণভাবে অলস আর অকর্মণ্য। তারা তাদের পূর্বপুরুষদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে থাকে। তবে তারা এখন তাদের গ্রামের নারীদের ক্রমবর্ধমান দক্ষতা ভীত হয়ে পড়ে। তারা যেন নিয়ন্ত্রণের ভার নিতে না পারে সেজন্য তাদের দমিয়ে রাখা হয়। এটি এই চার নারীর গল্প। তার বাস করে এক কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত জগতে, তবে নিজেদের মধ্যে তাদের এক স্বাধীন জগত আছে যেখানে সব ধরনের আলাপ হয়-প্রেম, শরীরী বিষয় আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। কাহিনীতে নাটকীয়তা যোগ হয় যখন রানি জানতে পারে জানকী তার গ্রামে একবার নিগ্রহের শিকার হয়েছিল। লাজ্জো তার স্বামীর নিষ্ঠুরতায় ক্লান্ত। আর নতুন এক তরুণীর আগমনে বিজলী তার জগতকে হারাবার আতঙ্কে নিমজ্জিত হয়। এই চার নারীর মাঝে এক অভিন্ন বন্ধন সৃষ্টি হয়। তারা নিজেদের মাঝে এক মুক্তির আস্বাদ লাভ করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন