আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে রোববার তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের রাজধানীতে ঢুকে পড়ে, যা আফগান সরকারের পতন এবং ২০ বছরের আমেরিকান যুগের অবসান ঘটিয়েছে।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে তাজিকিস্তানে গিয়েছেন এবং সেখান থেকে তিনি তালেবানকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই সহ আফগান কর্মকর্তাদের একটি কাউন্সিল বলেছে যে, তারা সরকার গঠন নিয়ে তালেবানদের সাথে আলোচনা শুরু করবে। দিনের শেষে, তালেবানরা আনুষ্ঠানিকভাবে পুরো দেশের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
গত সপ্তাহে গ্রামাঞ্চল এবং শহরগুলোতে তালেবানদের গতি এবং কৌশল আমেরিকা ও তাদের সমর্থিত আফগান সরকারকে সমানভাবে স্তম্ভিত করে ফেলে। তড়িঘড়ি করে আমেরিকান সামরিক হেলিকপ্টার ফ্লাইটগুলো কাবুলের দূতাবাস থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে, আমেরিকান কূটনীতিক এবং আফগান দূতাবাসের কর্মীদেরকে কাবুল সামরিক বিমানবন্দরে নিয়ে গেছে। পাশের বেসামরিক বিমানবন্দরে, আফগানরা কাঁদতে কাঁদতে এয়ারলাইন কর্মীদের কাছে তাদের পরিবারগুলিকে বহির্গামী বাণিজ্যিক ফ্লাইটে রাখার জন্য অনুরোধ করেছিল, যদিও অধিকাংশই সামরিক বিমানের পক্ষে ছিল।
এর মধ্যেই জাতির উদ্দেশে দেওয়া নতুন একটি ভিডিও বার্তায় তালেবান নেতারা আফগানিস্তানের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কাবুল দখল ও বিজয় ঘোষণার একদিন পরে তালেবানের পক্ষ থেকে নতুন এই ভিডিও বার্তা প্রচার করা হলো। সেই ভিডিও বার্তায় তালেবানের উপ-প্রধান নেতা মোল্লা বারাদার আখুন্দ বলেছেন, এখন সময় হয়েছে আফগানিস্তানের মানুষের সেবা আর তাদের জীবনমান উন্নয়নের। তালেবানের উপ-প্রধান আরও বলেন, আমাদের জাতিকে আমরা সবচেয়ে ভালো সেবা দেব, গোটা জাতির জন্য প্রশান্তি নিয়ে আসব, তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য যতদূর যা করা দরকার, আমরা তাই করব। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন