বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

খালেদা জিয়া আবারও দানবীয় শক্তিকে পরাজিত করতে নেতৃত্ব দেবেন: ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০২১, ৭:৫৯ পিএম

জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের সামনে আসনে না দেয়া এবং তিনি যেন রাজনীতিতে সক্রিয় হতে না পারেন সেজন্য ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ব্যর্থ হবে। তিনি আবার জনগণের সামনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই যে ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট দানবীয় শক্তি, যারা দেশের মানুষের উপর চেপে বসে আছে তাদেরকে পরাজিত করতে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন।

সোমবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার আরোগ্য, দীর্ঘায়ু ও মুক্তি কামনায় এবং সারাদেশে করোনাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা মামলায় যেটা ১/১১ অবৈধ সরকারের আমলে দায়ের করা হয়েছিলো, সেই মামলায় সাজা দিয়ে তাকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে শুধুমাত্র জনগণ থেকে দূরে রাখার জন্য, রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য তাকে অন্তরীন করে রেখেছে। কী নিদারুন যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে তিনি প্রায় তিন বছর এই অন্তরীণ একটা অবস্থা অতিক্রম করছেন। এর মধ্যে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বলা হয়েছিলো তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়ার। সেটাও সরকার তাকে যেতে দেননি।

গণটিকার কর্মসূচি জনগণের সাথে সরকারের আরেকটি তামাশা মন্তব্য করে তিনি বলেন, এতো বড় একটা বৈশ্বিক মহামারী তারা (সরকার) সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। টিকা সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্নীতি করেছে। যার ফলে কী হয়েছে? সমগ্র দেশে করোনাভাইরাসের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, অপরিকল্পিত লকডাউনে প্রকৃত পক্ষে তারা বিরোধী দলের ওপরে ক্র্যাকডাউন করেছে। তারা কোনো সভা-সমিতি, কোনো জমায়েত করতে দিচ্ছে না। ‍নিজেরা কিন্ত ঠিকই সব করে যাচ্ছে।

অপপ্রচারে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ইতিহাসকে বিকৃত করার জন্যে এবং জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করবার জন্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অত্যন্ত অপমানজনক কথা-বার্তা বলছে। আমরা খুব ভালো করেই জানি, ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের নেতৃবৃন্দই নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করে শেখ মুজিবের রক্তের ওপর দিয়ে হেটে গিয়ে শপথ নিয়েছিল। সেই সময়ের কুশিলবদের পরবর্তীতে এমপিসহ নানা মর্যাদার সঙ্গে সরকারে অবস্থান দিয়েছেন। সেই হত্যাকান্ডের পর বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে আতাঁত করেছিলো এবং সাহায্য করেছিলো সেই কর্ণেল তাহেরের নাম কিন্তু তারা একবারও উচ্চারণ করে না। তৎকালীন জাসদের গণবাহিনীর নেতা হাসানুল হক ইনুর কথা একবারও বলেনা তারা। বরং তাকে তারা মন্ত্রী বানিয়েছে। ৭৫ সালে সামরিক আইন জারি করেছিলেন খোন্দকার মোশতাক। এই কথা জনগণের কাছে তারা কখনো বলে না।

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া সাম্প্রতিক বক্তব্য শিষ্টাচার বিবর্জিত মন্তব্য করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি। পরে খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনার বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

দলের প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে দলের স্থায়ী কমিটির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, শামীমুর রহমান শামীম, তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, আমিরুজ্জামান শিমুল, জেডএম মূর্তজা চৌধুরী তুলা, বিলকিস ইসলাম, রফিক শিকদার, হায়দার আলী লেলিন, ফরিদা ইয়াসমীন, হাসান জাফির তুহিন, মশিউর রহমান বিপ্লব, মহানগরের আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, এসএম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, উলামা দলের মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার, মৎস্যজীবী দলে আবদুর রহিম, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন