বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুয়াকাটা-পটুয়াখালীর লেবুখালী ফেরিঘাট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে প্রতিদিন

ভয়াবহ দূর্র্ভোগে হাজার হাজার মানুষ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২১, ৩:০২ পিএম

ঢাকা-ফরিদপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়কের লেবুখালী ফেরি পয়েন্ট জনদূর্ভোগ এখন সব বর্ণনার বাইরে। অথচ এ ফেরি পয়েন্টের ওপরই কুয়াকাটা ও পটুয়াখালীর সাথে বরিশাল বিভাগীয় সদর সহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ নির্ভরশীল। দেশের অন্যতম বৃহৎ এ ফেরি পয়েন্টে প্রতিদিন গড়ে দু হাজার যানবাহন পারাপার হলেও পায়রা নদীর দু প্রান্তের ঘাটের সংযোগ সড়ক বিগত বছরের মত এবারো বর্ষা মৌসুমে ভররা জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে। প্রতিদিন দু দফার মূল জোয়োরের সময় অন্তত ৩ ঘন্টা করে ফেরিটির সংযোগ সড়ক সহ এর গ্যাংওয়ে জোয়ারের পানিতে ২-৩ফুট পানির তলরায় ডুবেস থাকেছ। শিশু, বৃদ্ধ ও নারী যাত্রী সহ পথচারীরা উভয় প্রান্তেই প্রায় দেড়শ মিটার হাটু সমান কাঁদা পানি পেরিয়ে ফেরিতে উঠতে বাধ্য হচ্ছেন।

১৯৭৮ সালে বরিশালÑপটুয়াখালী মহাসড়ক চালুর সাথে লেবুখালীতে পায়রা নদী তীরে দীর্ঘ বেলীসেতু সহ সংযোগ সড়ক ও ঘাট নির্মান করে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়। সে থেকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফেরির সাহায্যে এঘাটে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। পরবর্তিতে এ মহাসড়ক ও ফেরি পয়েন্ট হয়েই বরগুনা ও কুয়াকটার সাথে সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এ ফেরি ঘাটে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। ক্রমান্বয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এখনে ইউটিলিটি টাইপ-১(উন্নত) ফেরিও মোতায়েন করে। বর্তমানে এ ঘাটে ৬টি বিভিন্ন মডেলের ইউটিলিটি ফেরি থাকলেও দুটি স্থায়ীভাবে অচল হয়ে বন্ধ। অপর ৪টির মধ্যে পর্যায়ক্রমে ২টি ফেরিও চলছে না। ফলে এ ফেরি সেক্টরে প্রতিদিনই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারাপারে ঘন্টার পর ঘন্টা জোয়ারের পানিতে দাড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করছে।
তবে এরচেয়েও ভয়াবহ বিড়ম্বনা তৈরী হচ্ছে লেবুখালী ফেরি ঘাটের গ্যাংওয়ে সহ দু প্রান্তের ঘাটের সংযোগ সড়ক জোয়ারে প্লাবিত হবার কারণে। প্রতিদিন দুবার অন্তত ৬Ñ৮ ঘন্টা পর্যন্ত জোয়ারের পানি ঠেলে শত শত যানবাহনকে ফেরিতে ওঠা-নামা করতে গিয়ে প্রায়সই দূর্ঘটনা ঘটছে। আর যানবাহনের যাত্রী সহ পথচারীদের অনেক সময়ই কোমড় সমান পানি ডিঙিয়ে ফেরি ঘাটে ওঠানামা করতে গিয়েও অনেকেই বিপাকে পড়ছেন। বিশেষকরে মোটর বাইক যাত্রীরা প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ইজারাদারের বক্তব্য, ‘এ ঘাটে ৬টি ফেরির ২টি বিকল দীর্ঘদিন ধরে। পটুয়াখালী ফেরি বিভাগ বিষয়টি নিয়ে উদাশীন। ঘাটের গ্যাংওয়ে প্রতিস্থাপন সহ সংযোগ সড়কটি ভরা জোয়ারে ডুবে যাচ্ছে। বরিশাল ও পটুয়াখালী সড়ক বিভাগ এসব ব্যপারে কোন নজর দিচ্ছেনা।

এব্যাপরে বরিশাল সড়ক সাকের্লের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি ‘ সংকট নিরশনে নির্বাহী প্রকৌশলীদের সরথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবেন’ বলে জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন