অভিবাসী কর্মীদের জন্য সিনোফার্মা-সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে সউদী জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশন (গাকা)। তবে উল্লেখিত ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের অতিরিক্ত ফাইজার, অক্সফোর্ড আস্ট্রাজেনিকা, মর্ডানা এবং জনসন এন্ড জনসনের একটি বোস্টার ডোজ গ্রহণ করে সউদী গেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন হবে না।
সিনোফার্মা-সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন গ্রহণকারী কর্মীদের অবশ্যই অতিরিক্ত বোস্টার ডোজ গ্রহণ করে সউদী যেতে হবে। সউদীর জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের শ্রম কল্যাণ উইং এর কাউন্সেলর (শ্রম) মো. আমিনুল ইসলাম গতকাল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সউদী গাকার এমন সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে সউদী প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা
সিনোফার্মা-সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের সাথে অতিরিক্ত একটি বোস্টার ডোজ দিয়েই দেশটির কর্মস্থলে যোগদান করতে পারবেন। সউদী সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী যেসব প্রবাসী কর্মী করোনা মহামারির ভ্যাকসিন না দিয়ে দেশটিতে যাচ্ছে তাদেরকে ১৪ দিন হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত প্রায় ৬০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ফাইজার, অক্সফোর্ড অস্ট্রাজেনিকা, মর্ডানা এবং জনসন এন্ড জনসনের ভ্যাকসিন গ্রহণ করে যেসব কর্মী সউদী যাচ্ছেন তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে না।
এই প্রসঙ্গে ফোরাব মহাসচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আজ বুধবার ইনকিলাবকে জানান, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন হিসেবে সিনোফার্মা- সিনোভ্যাক-এর দুটি ডোজের অতিরিক্ত হিসেবে সউদী সরকার অনুমোদিত যে কোন ভ্যাকসিনের (ফাইজার, অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনিকা, মর্ডানা এবং জনসন এন্ড জনসনের) একটি অতিরিক্ত বোস্টার ডোজ গ্রহণ করে সউদী আরবে গমন করলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন হবে না মর্মে সউদী গাকা সূত্রে জানা গেছে।
ফোরাব মহাসচিব অনতিবিলম্বে এই বিষয়ে অভিবাসী কর্মীদের বোস্টার ডোজ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন