জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে আমরা একেবারেই তলানিতে রয়েছি। আমাদের দেশে এ পর্যন্ত মাত্র দুই থেকে তিন ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এই টিকা দেয়ার ক্ষেত্রেও চরম বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে টিকা নিতে কেন্দ্রে এসে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে।
তিনি আজ বুধবার দুপুরে ৪ দিনের সফরে লালমনিরহাটে যাওয়ার পথে রংপুরের পল্লীনিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার লকডাউন দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ কোটি মানুষকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছিলাম। এ জন্য প্রতি মাসে সরকারের প্রয়োজন ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। এক মাস এ অর্থ সহায়তা দিলে দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে আসতো। যে দেশে মানুষের পেটে খাবার নেই, যাদের বাচ্চা দুধের জন্য কাঁদে, যারা ওষুধের অভাবে মারা যায়, সেসব মানুষকে ঘরের ভেতরে আটকে রাখা সম্ভব নয়। তাই সরকারকে মানুষের জীবনের দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সবকিছুর ঊর্ধ্বে জীবন। জীবনের জন্য আমরা রাজনীতি করি। সবকিছুই আমাদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য। যদি জীবন না থাকলো তাহলে রাজনীতি ও উন্নয়নের কোনো অর্থ থাকে না। করোনার চিকিৎসা বাড়াতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে প্রান্তিক পর্যায়ে কিছু কাজ বাস্তবায়ন করলেও তা অতি নগণ্য।
বিদিশা ও এরিক এরশাদের মামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান। এ নিয়ে এখন কিছু যাবে না।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, মহানগর যুব সংহতির সভাপতি শাহীন হোসেন জাকিরসহ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন