গুলশান থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য পদ থেকে স¤প্রতি বহিষ্কৃত ‘বিতর্কিত’ নেতা হেলেনা জাহাঙ্গীর। গতকাল বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মÐলের আদালত এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। অন্যদিকে প্রতারণার মামলায় জামিন মেলেনি তার।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল গুলশান থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড শেষে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রজি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালত পল্লবী থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় দুই হাজার টাকার মুচলেকায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালত এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসীর আদালত আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীরের চার মামলায় মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে পল্লবী থানার প্রতারণার মামলায় ৪ দিন, একই থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ৪ দিন, গুলশান থানার মাদক মামলায় ৩ দিন এবং গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর আগে ২৯ জুলাই রাত ৮টা থেকে টানা ৪ ঘণ্টা রাজধানীর গুলশান ২-এ আলোচিত-সমালোচিত এই ব্যবসায়ীর বাসায় অভিযান পরিচালনা শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, হরিণের চামড়া, ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম, বিদেশি মুদ্রা, ওয়াকিটকি সেট, ড্রোন ক্যামেরা, ক্যাঙ্গারু চামড়া, অনেকগুলো চাকু জব্দ করা হয়।
প্রতারণার মামলায় জামিন হয়নি: প্রতারণার অভিযোগে পল্লবী থানায় করা মামলায় জামিন পাননি হেলেনা জাহাঙ্গীর। বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তার আইনজীবী শফিকুল ইসলাম জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন