বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চন্দনা নদীতে অবৈধ সুতিজাল ও বাঁশের বানা দিয়ে মৎস্য নিধন

প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা  : মাছে ভাতে বাঙ্গালী প্রবাদটি প্রচলিত থাকলেও এখন আর তেমন মিঠা পানির মাছ পাওয়া যায় না। সেই দিনের সেই প্রবাদটি এখন শুধুই স্বপ্ন হয়ে গেছে আমাদের বাঙালীদের কাছে। এর কারণ কিছু সংখ্যক অসাধু জেলে আর কুচক্রী মহলের জন্য। তেমনি একটি ঘটনার অবতারণা হয়েছে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের গাঙচর পদমদী ও বাড়াদী মৃত নৈইজুদ্দিন মোল্লার ব্রীজ ঘাট এলাকায়।  
মাছে ভাতে বাঙালীর পরিচয় ধরে রাখতে বাংলাদেশ সরকার জেলেদের জন্য অনেক ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু সেই পদক্ষেপ গ্রহণের পরও কিছু জেলে সরকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে সরকারী নীতিমালাকে ভঙ্গ করছে। দেশের সম্পদ মৎস্যকে বড় করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে রয়েছে এই মৌসুমে মাছ ধরা যাবে না। কারণ এই মৌসুমটা মাছের ডিম ছাড়া বাচ্চা ফুটানো এবং সেই বাচ্চাকে খাওয়ার উপযোগী করে তোলার সময়। এখন মা মাছকে ধরে ফেললে আমরা আগামীর জন্য মাছ পাব না।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের গাঙচর পদমদী ও বাড়াদী এলাকায় চন্দনা নদীতে সুতি জাল ও বাঁশের বানা দিয়ে বাঁধ দিয়ে অবাদে মৎস্য নিধন করছে এলাকার কিছু অসাধু জেলে। ইসলামপুর ইউনিয়নের করমচাঁদপুর গ্রামের মো রফিক উদ্দিন মোল্লার ছেলে মো. নিলু মোল্লা, মৃত আরাব আলী শেখের ছেলে মো. আলাল শেখসহ এই এলাকার কিছু স্বার্থানেশী মহল। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ ও মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ দপ্তরের অর্থায়ণে নদীতে রুই, কাতলা, মৃগেলসহ বেশকিছু প্রজাতির পোনা অবমুক্ত করা হয়। এই পোনা মাছগুলোকে বড় করার দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু কিছু সংখ্যক অসাধু জেলে এই এলাকায় সুতি জালের বাঁধ দিয়ে সেখান থেকে ভেসালের মাধ্যমে তুলে নিচ্ছে বেনুপোনা থেকে ডিমওয়ালা মা মাছগুলোকে। এতে করে ধ্বংস হ্েচ্ছ মাছের বেড়ে ওঠা। সেই সাথে আগামীর বড় মাছ পাওয়া থেকে এই এলাকার মানুষ বঞ্চিত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন