নাম এমদাদুল হক। ছাত্র জীবনে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছিল। কিন্তু উচ্চাকাঙ্ক্ষা তার থেমে থাকেনি। তাই সেজেছিল ডাক্তার। তার আসল নাম গোপন রেখে সাইন বোর্ডে লেখে ছিল জামাল হোসেন। আরো লেখেন এমবিবিএস, এফসিপিএস (ফিজিক্যাল এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন)। ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার জামাল হোসেন ওরফে এমদাদুল হক কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার নাখারগঞ্জ চওড়াটারী গ্রামের ময়েন উদ্দীনের ছেলে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে এ সাইন বোর্ড দিয়ে তিনি রোগীর চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। পাশাপাশি চাকুরী দেয়ার নাম করেও বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করছিলেন। কিছুদিন আগে এ উপজেলায় কর্মরত কেমিকো ফার্মাসিটিকেল লিমিটেডের মেডিকেল প্রোডাকশন অফিসার জুলফিকার হাবিবের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে গেলে তিনি থানায় এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এমদাদুল তার আসল নাম গোপন রেখে জামাল হোসেন নাম দিয়ে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার সেজে প্রতারণা করার তথ্য উদঘাটন করে পুলিশ। এরপর পুলিশ গত ১০ আগস্ট অভিযান চালিয়ে এমদাদুল হককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর জানান, আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) তার রিমান্ডের প্রথম দিন। জিজ্ঞাসাবাদে দাখিল ফেল করে এমবিবিএস ডাক্তার সেজে প্রতারণা করার কথা স্বীকার করেছে এমদাদুল। থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান জানান, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন