বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ১১:১৫ এএম | আপডেট : ১১:১৮ এএম, ২৩ আগস্ট, ২০২১

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদীর অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন ও থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার, দালাল পাড়া, হোকডাঙ্গা ও ডাক্তার পাড়া গ্রামে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিস্তার ভাঙনে শতাধিক পরিবারের বসত ভিটা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে ৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২টি কমিউনিটি ক্লিনিক, বাধেঁর রাস্তা সহ ৭টি গ্রামের কয়েকশ একর আবাদি জমি।
চলতি বর্ষা মৌসুমে ৩ দফা তিস্তা নদীর ভাঙনে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নে অর্জুন ও থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার, হোকডাঙ্গা ও দালাল পাড়া গ্রামের ৫শত পরিবার বসত বাড়ী সহ সহায় সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। ইতোমধ্যে নদীতে বিলিন হয়েছে গোড়াই পিয়ার, হোকডাঙ্গা,হিন্দু পাড়া ও দালাল পাড়া গ্রাম অধিকাংশ আবাদী জমি,গাছ পালা, সড়ক কালভাট। বৈদ্যুতিক খুঁটি নদীতে বিলীন হওয়ায় বিদ্যূৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে ঝাঁকুয়া পাড়া, মন্ডল পাড়া, মুলাধোয়ার পাড়, হিন্দু পাড়া, ডাক্তার পাড়া, মাঝিপাড়া ও ভারত পাড়া সহ ৭টি গ্রাম। এছাড়া গোড়াই পিয়ার দাখিল মাদরাসা, গোড়াই পিয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হোকডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হোকডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ চর হোকডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি ওয়ার্ড ক্লিনিক, ৫টি মসজিদ, ২টি মন্দিরসহ ৭ গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার।
দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন গ্রামের বাসিন্ধা ইউপি সদস্য জিয়া জানান, দীর্ঘদিন থেকে গ্রামটি তিস্তা নদীর ভাঙনে গ্রামটি বেশির ভাগ এলাকা বিলীন হয়ে গেলেও ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপয়ার বাসিন্দা ফজলুল হক, মহুবর রহমান, শাহ আলম দফাদার, ফজলুল হক(৬৬),ওই এলাকার মেম্বার চাদ মিয়া, আছিয়া বেওয়া(৫০), পরেশ চন্দ্র(৫৪) ও ৭,৮,৯ ওয়াডের মহিলা মেম্বার তারামনি জানান, ভাঙনে সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। অথচ ভাঙনরোধে কার্যক্রর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি আজও।
থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, ভাঙ্গনের তীব্রতা এত বেশী যা ইতি পূর্বে দেখিনি। গত ২ দিন ধরে গ্রামের মানুষজন নিয়ে ভাঙন এলাকায় রয়েছি যখন যে বাড়ী হুমকির মুখে পড়ছে তখনই সেটা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পাউবো ও উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অবগত করেছি।
তিস্তা নদী রক্ষা কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সরদার তিস্তা নদী ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, আপদকালীন ভাঙ্গন রোধে কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। বরাদ্দ পেলে বাকি এলাকার ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন