আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন দেশি- বিদেশি চক্রান্তের শিকার হয়ে জীবন দিতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে। এটা কোনো ব্যক্তিগত হত্যাকান্ড নয়, পুরোপুরি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। তদন্ত কমিশন গঠন হলেই অন্তরালে কারা ছিল সব সত্য বেরিয়ে আসবে।
গতকাল জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আমির হোমেস আমু বলেন, ৭৫ সালে যেভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রাজনৈতিক পুনর্বাসন ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছে জিয়াউর রহমান, ঠিক একই পন্থায় তার এজেন্ডা বাস্তবায়নে বেগম খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তার পূর্ণতা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আজ যারা খালেদা জিয়াকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে খাটো করতে চায় বুঝতে হবে তারা আসলে জ্ঞানী মানুষের ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের ভাবধারার ধারক -বাহক।
আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নয় তিনি ছিলেন বিশ্বের নির্যাতিত নীপিড়িত মানুষের নেতা। তিনি বিশ্বের যেখানেই যেতেন সেই দেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী তাকে অভ্যর্থনা জানাতেন। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথেই এগিয়ে যাবে দেশ।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় অলোচনাসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন