বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মিয়ানমারে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের টিকা দেবে জান্তা জাও মিন তুন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৭:১৯ পিএম

রাজধানী নেইপিদোতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাও মিন তুন বলেন, মিয়ানমারে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং টিকাদান কর্মসূচির আওতা বাড়াতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই দেশের মোট জনসংখ্যার টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। মিয়ানমারে এখনও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর যেসব মানুষজন রয়ে গেছেন, তাদেরকে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হবে। -রয়টার্স

দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন ওই সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। দেশটিতে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে উল্লেখ করে জান্তা মুখপাত্র বলেন, ‘রাখাইনের বাঙালিদেরও টিকার আওতায় আনা হবে। তারা আমাদেরই লোক। আমরা কাউকে পেছনে ফেলে রাখার পক্ষপাতী নই।’ পৃথিবীজুড়ে দশকের পর দশক ধরে যেসব জাতিগোষ্ঠী নির্মম নিপীড়ন ও বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে তাদের মধ্যে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী অন্যতম। মিয়ানমারের সংবিধানে সংখ্যালঘু মুসলিম এই জাতিগোষ্ঠীর কোনো স্বীকৃতি নেই, এমনকি মিয়ানমারের সংখ্যাগুরু বর্মি জনগোষ্ঠী ও শাসকশ্রেনী তাদের ‘রোহিঙ্গা’ বলে সম্বোধনও করে না। তাদেরকে বলা হয় ‘বাঙালি’ এবং এ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, এই জাতিগোষ্ঠীর পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন এবং মিয়ানমারে তারা অবৈধভাবে থাকছেন।

২০১৭ সালে দেশটির রাখাইন প্রদেশে কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়িতে বোমা হামলা হয়েছিল। সেই হামলার পর মিয়ানমারের তৎকালীন সেনা প্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের নির্দেশে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনা বাহিনী তাতমাদৌ। অভিযানে ব্যাপকমাত্রায় হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয় রোহিঙ্গারা। সেনা বাহিনীর অভিযানের সামনে টিকতে না পেরে একসময় দলে দলে তারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। বাংলাদেশের সরকারি তথ্য ও আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালের সামরিক অভিযান চলার সময় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের শাসকগোষ্ঠী ও সংখ্যাগুরু বর্মীদের অধিকাংশই রোহিঙ্গাদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পোষণ করে।

২০১৭ সালে যখন অভিযান চলছিল, সে সময় মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচিও এর বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেন নি। এমন কি, আন্তর্জাতিক আদালতে এ বিষয়ক মামলার শুনানিতেও তিনি তাতমাদৌয়ের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর অবশ্য সুচির নেতৃত্বাধীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির একাধিক মুখপাত্র স্বীকার করেছেন, রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযানের সময় চুপচাপ থাকা রাজনৈতিকভাবে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল করতেই ২০১৭ সালে অভিযানের নামে গণহত্যা চালিয়েছিল মিয়ানমার সেনা বাহিনী। তবে সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তাতমাদৌ বলেছে, সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Rownakul ahsan ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৯:১৮ পিএম says : 0
Oh hooo now you shown the world how kind you are ha... Listen sumthing we Bangali people sayed about this tipe of particular reason that you kild a kindness cow and after you gave your shoes in forgiveness.. Haa... We can understand your politics.. After what you have done in Rakhine.. In your peoples called Rohingyas.. You all have ben Jazzed.. You must have been jazzed..
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন