মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের দৃঢ় ধারণা, কাবুলে দুটি নয়, একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেটি হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের ফটকের পাশে ঘটে। ব্যারন হোটেলের কাছে কোনো বিস্ফোরণ ঘটেনি। তবে আগে মনে করা হয়েছিল যে সেখানে দুজন ওই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। বিস্ফোরণে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনা সদস্যসহ ১৮৮ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
ওয়াশিংটনে মার্কিন সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল উইলিয়াম টেলরের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কাবুলে দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। একজন আত্মঘাতী হামলাকারী এ হামলা চালিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার হামলার পর মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের জেনারেল কেনেথ ম্যাকেনজি বলেছিলেন, দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে বিমানবন্দরের ফটক ‘আবে গেটের’ সামনে, অন্য হামলাটি হয়েছে অদূরেই ব্যারন হোটেলের পাশে। এ ব্যারন হোটেলে মূলত কাবুল ছাড়তে বিদেশি নাগরিকেরা জড়ো হন। এরপর বিমানবন্দরে যান।
হামলার নিন্দা জানিয়ে এর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরমধ্যে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় গোষ্ঠীটির একজন সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনা কর্মকর্তারা।
১৪ আগস্টের পর থেকে বিমানে করে এক লাখেরও বেশি মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে টেলর বলেন, আরো পাঁচ হাজার ৪শ’ মানুষ সরিয়ে নেয়ার অপেক্ষায় বিমানবন্দরে রয়েছেন।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ‘শেষ পর্যন্ত এসব মানুষকে সরিয়ে নিতে সমর্থ হবে।’ সূত্র : বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন