করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতিরমুখে পড়েছিল কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। চরম সংকটে দিন পার করেছিল এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত দেড় লাখের বেশী মানুষ। সেই দিন পার করে খুলে দেয়া হয়েছে পর্যটনের সব স্পট। শুধুমাত্র সচেতনতায় পারে এ শিল্পে যে ক্ষতি হয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে। করোনা নিয়ে সরকারী যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন করতে পারলেও ঘুরে দাঁড়াবে পর্যটন শিল্প এমনটা মনে করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
শনিবার (২৮ আগস্ট) সকাল পৌনে ১০ টার দিকে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে পর্যটনে কোভিড-১৯ সচেতনতামূলক র্যালী শেষে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প নিয়ে আলাদা করে ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার জন্য দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দর হচ্ছে কক্সবাজারে। রানওয়ে সম্প্রসারণের যে কাজের উদ্বোধন করা হচ্ছে রোববার তা বাস্তবায়িত হলেই বিশ্বের দরবারের নতুন করে উন্মোচন হবে কক্সবাজারের নাম।
তিনি আরও বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের পাশাপাশি আমাদের বেসরকারি অংশীজনদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে আমাদের বেসরকারি অংশীজন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তৈরি করছেন। পর্যটন শিল্প ঘিরে যত বেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে তত বেশি আমাদের দেশের যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশে আমাদের বেসরকারি অংশীজনদের সহায়তা করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সবসময় আন্তরিক। দেশের জনগণের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে, সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বার্থে আমরা সবসময় তাদের পাশে থাকবো।
সচেতনতামূলক র্যালীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোখলেছুর রহমান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন