জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোঃ আনিসুল হক বলেছেন, “জিয়াউর রহমানকে প্রমাণ করতে হবে সে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কারণ হচ্ছে তার কর্মকান্ডে ভারতে যাওয়া ছাড়া, জেড ফোর্স নামের একটা ভুয়া বাহিনী ছাড়া আমরা কখনো দেখিনি যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেছেন। সে কারণে তাকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বলা সঠিক হবে কিনা সেটা মনে হয় বিতর্কযোগ্য।,
রোববার শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) আইন অনুষদ আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার: আইনি পর্যালোচনা' শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে আইন,বিচার সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো: আনিসুল হক প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ও প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার অর্থ বাংলাদেশকে হত্যা করা। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিনষ্ট করা। তারা চেয়ছিলো বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মত পরিচালনা করতে। এর প্রেক্ষিতেই জিয়াউর রহমান ক্ষমতা লাভের পর কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন পাস করে এবং খুনীদের যাতে বিচারের মুখোমুখী হতে না হয় সেটি নিশ্চিত করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়াও খুনীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছেন আর এরশাদ খুনীদের রাজনৈতিক দল গঠন করার সুযোগ দিয়েছেন। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় অবশেষে এই নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে। দীর্ঘদিন এই দেশের মানুষ কোনো হত্যাকান্ডের বিচার চাইতে পারেনি। কারণ এই দেশে জাতির পিতার হত্যাকান্ডেরই বিচার হয়নি। কিন্তু এখন এই দেশের মানুষ যেকোনো হত্যাকান্ডের বিচার চাইতে পারবে এবং বিশ্বাস রাখতে পারবে একদিন তারা বিচার পাবেই।
এছাড়া তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার, চার নেতার হত্যাকান্ডের বিচারসহ গণহত্যার বিচারের ব্যবস্থা করেছেন এবং অর্থনৈতিকভাবেও বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। এখন তরুন প্রজন্মের দায়িত্ব বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখা। এর জন্য তরুণদেরকে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করতে হবে, ইতিহাস জানতে হবে। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনও বন্ধ হয়নি তাই আপনাদের শিক্ষিত হতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে জনগণের সাথে থাকতে হবে।
আলোচনা সভায় বশেমুরবিপ্রবির আইন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এর পাশাপাশি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এ আলোচনা সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন