কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নে ভূয়া কাজির ছত্রছায়ায় সরকারি আইনকে তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন যাবৎ বাল্য-বিয়ের হিড়িক পরার অভিযোগ উঠেছে। এতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে এলাকা জুড়ে। প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ করেও তেমন সাড়া না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন এলাকাবাসি।
ওই ভূয়া কাজি রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউসিয়নের বকবান্দা নামাপাড়া গ্রামের মৃত আসমত আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৫৭)।
এলাকাবাসির অভিযোগ, গত ১বছরে প্রায় ৪০টি বাল্যবিবাহ রেজিষ্ট্রি করেছেন তিনি। এর মধ্যে তার নিজের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা আফছানাও রয়েছে। সব চেয়ে বেশী আলোচনায় আসে বকবান্দা নামাপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যায়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোজিনা খাতুন, ৭ম শ্রেণির মোছা. সুলতানা, সোনিয়া আক্তার, মিম আক্তার, খাদিজা আক্তার, ৮ম শ্রেণির মোছা. আফছানা, মোছা. নূরিমা খাতুন, মোছা. সাবনুর, ৯ম শ্রেণির মোছা. রাজিয়া খাতুন, মোছা. বীথি খাতুন, মোছা. জেসমিন আক্তার, ১০ম শ্রেণির মোছা. সাদিয়া আক্তার। অভিযোগে আরও জানা যায়, ওই ভূয়া কাজির কাছে কোন জাতীয় সনদ পত্র লাগেনা। ফলে অবিভাবকদের কোন বেগ পেতে হয় না। এই সুযোগে ভূয়া রেজিস্ট্রেশন বইয়ে বিবাহ নিবন্ধন করেন তিনি। বিভিন্ন জনকে ম্যানেজ করতে হবে বলে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। এ বিষয়ে আশরাফুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজি আব্দুস ছবুরের কাছ থেকে নিবন্ধন বই নিয়ে নিয়ম মোতাবেক বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
এবিষয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন কাজি আব্দুস ছবুর বলেন, এই ভূয়া কাজির সংবাদ পেয়ে আমার ইউনিয়নে মাইকিং করে জানিয়ে দিয়েছি আমি ছাড়া অন্য কোন কাজি নেই যাদুরচর ইউনিয়নে। ঐ কাজি নামধারী আশরাফুলকে তিনি চিনেন না। সে আসলেই ভূয়া কাজি।তারপরেও মানুষ কেন তার কাছে বিবাহ নিবন্ধন করে বুঝিনা। আমি ওই ভূয়া কাজির নাম ঠিকানা পেয়েছি। রৌমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্র কাছে লিখিত অভিযোগ দিব।
এব্যপারে রৌমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, এঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন