শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বিমানের ক্যাপ্টেন নওশাদ আগেও ১৪৯ যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছিলেন উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতের ঘোষণা বিমান প্রতিমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৩:৩৫ পিএম

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অসুস্থ পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের সুস্থতার জন্য উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদান করা হবে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমানের সাথে টেলিফোনে আলাপকালে অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যেক সদস্যকে আশ্বস্ত করে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিমান প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের মত দক্ষ পাইলট একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। তিনি কর্মজীবনের বিভিন্ন সময়ে তার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। গত ২৭ আগস্ট ওমানের মাস্কট থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করে ঢাকায় ফেরার পথে তিনি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। তার চিকিৎসার বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সার্বক্ষণিক তদারক করছে।

গত শুক্রাবার ভোর সাড়ে ৬টায় ওমানের মাস্কাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২২ ফ্লাইট। মাঝ আকাশে বুকে প্রচ- ব্যথা অনুভব করেন বিমানের পাইলট ক্যাপটেন নওশাদ আতাউল কাইউম। বিষয়টি তিনি ফার্স্ট অফিসারকে জানিয়ে ফ্লাইটটি আশপাশে কোথাও জরুরি অবতরণ করতে বলেন। শেষ পর্যন্ত ঝুঁকি এড়িয়ে ভারতের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় সফলভাবে ফ্লাইটটিকে ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান তারা। তবে যাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। নওশাদ ও তার ফার্স্ট অফিসারের বুদ্ধিমত্তায় জীবন রক্ষা পেয়েছে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর। তবে এটি প্রথম নয়।
৫ বছর আগে ক্যাপ্টেন নওশাদ তার বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে আরও ১৪৯ যাত্রী, দুই পাইলট আর ৭ ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বিমান সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১২২ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে ছিলেন নওশাদ। সেই ফ্লাইটটি মাস্কাট বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করেছিল। টেক-অফ করার পর মাস্কাট বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেন নওশাদকে জানানো হয়, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত বিমান এয়ার ক্রাফটের হতে পারে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নওশাদ বিমানটি চট্টগ্রাম অবতরণ না করে ঢাকা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন।
অবতরণের আগে ক্যাপ্টেন ফ্লাইটটি নিয়ে রানওয়ের উপরে ‍দুইবার লো-লেভেলে ফ্লাই করেন। তখন দেখা যায়, উড়োজাহাজের পেছনের দুই নম্বর টায়ারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে ক্যাপ্টেন নওশাদ দক্ষতার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত টায়ার ও ল্যান্ডিং গিয়ারসহই নিরাপদে ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করাতে সক্ষম হন। এই ঘটনার পর ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন