বাংলাদেশ ৯০% মুসলমানের দেশ। প্রত্যেক মুসলমানের উপর ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করা ফরজ ও আবশ্যক। সেই তুলনায় বাংলাদেশে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুবই কম। কিছু সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান স্বউদ্যোগে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা নির্মাণ করে থাকেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকারি অনুমতি বাধ্যতামূলক, এই প্রস্তাবনা ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধাগ্রস্থ করবে।
আজ সোমবার (৩০ আগস্ট) জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল হাদিস হাফেজ মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম এসব কথা বলেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও মৌলভীবাজার জেলার সভাপতি মাওলানা সৈয়দ মাসউদ আহমদ এর রোগমুক্তি কামনায় এই দোয়া মাহফিল আজ বিকেল ৪টায় জমিয়ত মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন, জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা শহিদুল ইসলাম আনসারী, জমিয়ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আতাউর রহমান খান, জমিয়ত ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবু সাঈদ, মুফতি নজরুল ইসলাম, মুফতি খাদেমুল ইসলাম শরীফ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আল আদনান, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও আব্দুল্লাহ বিন হেদায়েত প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কোনো অমুসলিম রাষ্ট্রেও ধর্মীয় স্থাপনা করতে সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশে এরকম প্রস্তাবনা দ্বীনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধের পাঁয়তারার শামিল। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, হঠাৎ এই রকম প্রস্তাবনায় আমরা বিস্মিত।
নেতৃবৃন্দ এই আত্মঘাতীমূলক প্রস্তাবনা প্রত্যাহার এবং ধর্মীয় স্থাপনা ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক গতিতে চলার পথ সুগম করার জন্য ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে অহেতুক হয়রানি থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন