মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন ঢালিউডের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ২টায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছে পরীমনির জামিন। ফেইসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তার এই জামিনে সন্তোষ প্রকাশ করলেও অনেকে আবার ভিন্ন চোখে দেখছেন বিষয়টি।
২৬ দিনের কারাবাস আর ৩ দফা রিমান্ডের পর ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় নারী, শারীরিক অসুস্থতা এবং অভিনেত্রী এই তিন বিবেচনায় অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন পরীমনি।
এর আগে গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরপর র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।
জামিনে সন্তোষ প্রকাশ করে মেহেদী খান লিখেন, ‘আজ এইমাত্র পরীমনির জামিন মঞ্জুর হলো, আলহামদুলিল্লাহ। যাক শুনে খুশি হলাম! শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি আবার সিনেমাতে ফিরে আসুক- এটাই চাই। ধন্যবাদ জানাই আমান রেজা ভাইয়াকে।’
রেজাউল করিম লিখেন, ‘অতীতের ভুল শুধরে নিশ্চয়ই পরীমনি তার ক্যারিয়ারে প্রত্যাবর্তন করবে। শুভ কামনা পরী।’
এমডি মাকসুদের প্রত্যাশা, ‘আশা করি, পরীমনি এবার নিজেকে সংশোধন করে শুধুমাত্র সিনেমায়ই মনোযোগী হবেন। সর্বোপরি রাতের রানী কিংবা মাদকের রানীর কাতার থেকে, তার নামটা অবশ্যই কেটে দিবেন এবং শুধুমাত্র নায়িকা হিসেবেই জীবন যাপন করবেন।’
এমডি ওয়াজেদ হোসাইন মনে করেন, ‘পরীমনির জামিন হওয়াতে ধন্যবাদ। কিন্ত কিছু বিষয়, এখন থেকে শিক্ষা হওয়া উচিত। এখন থেকে ভালোভাবে চলাফেরা করা উচিত এবং অন্য যারা এই ধরনের আছেন, তারাও এখন ভালোভাবে চলবে। কারণ দেশে এখন আইন আছে, এই ধরনের মানুষগুলো অপরাধ করতে ভয় পাবে।’
আফসোস করে ফারুক মিয়া লিখেন, ‘পরীমনি জামিনে মুক্তি! অথচ কুরআনের পাখিগুলো জেলে বন্দী আহারে বাংলাদেশ! আফসোস! বড়ই আফসোস!’
ইদ্রিস মিয়া লিখেন, ‘পরিমনির জামিন হলো ভালো কথা। কিন্তু তাকে বার বার রিমান্ডে নেওয়ার তথ্যগুলির কি অবস্থা? নাকি জনগণের কাছে আইওয়াস মাত্র।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন