বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বগুড়ায় সিনোফার্মার টিকা সংকটে দুশ্চিন্তায় হাজারো মানুষ

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৩৮ পিএম

বগুড়ায় সিনোফার্মা টিকার সংকটে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাজারো মানুষ । ওই টিকার প্রথম ডোজ পাওয়া লোকজনের মধ্যে ১৭ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।

বগুড়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৭ জন সিনোফার্মের প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ৪১ হাজার ৪৫৭জন।

তবে অ্যাস্ট্রোজেনেকার প্রথম ডোজ পাওয়া ১ লাখ ৯ হাজার ৮৩৪ মানুষের মধ্যে অল্প কিছু ছাড়া প্রায় সবাই দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সিনোফার্মের টিকার ক্ষেত্রে দু’টি ডোজের মধ্যে যারা অন্তত একটি পেয়েছেন তারা যতটা অস্বস্তিতে রয়েছেন তার চেয়ে বেশি হতাশায় ভুগছেন রেজিস্ট্রেশন করেও টিকার জন্য ডাক না পাওয়া লোকজন। একটি ডোজও টিকা না পাওয়া নারী-পুরুষের মধ্যে একটি বড় অংশই সরকারি /বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

অক্টোবরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার সরকারি পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে রেজিস্ট্রেশন করা শত শত শিক্ষার্থী টিকা না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। টিকা ছাড়া ক্লাসে ফেরা নিয়ে এক ধরনের শঙ্কাও কাজ করছে তাদের মনে।
বগুড়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ৩১ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত টিকার জন্য বগুড়ায় মোট ৬ লাখ ৭৯ হাজার ২১৭জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তাদের মধ্যে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অ্যাস্ট্রোজেনেকা এবং সিনোফার্মের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে ৫৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ অর্থাৎ পৌণে ৪ লাখ মানুষ টিকা পেয়েছেন। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন করেও প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ এখনও টিকা নিতে পারেন নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া সদর উপজেলার অধীন শহরের তিনটি কেন্দ্রে গত ২৫ আগস্টের পর থেকে সিনোফার্মের টিকা প্রদান বন্ধ হয়ে গেছে।
তার পর পরই সারিয়াকান্দি উপজেলাতেও টিকার মজুদ শেষ হয়ে যায়। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত জেলার কাহালু উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ২১টি টিকার মজুদ আছে। যা দিয়ে সেখানে আরও কয়েকদিন টিকা দেওয়া যাবে। তবে অন্য ৯টি উপজেলায় টিকার মজুদ এত অল্প পরিমাণ রয়েছে যে (৮টি থেকে সর্বোচ্চ ৫৮২টি) নতুন করে সরবরাহ না করলে টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।

এক সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু জানিয়েছেন, অচিরেই টিকা মিলবে বলে তারা আশাবাদী।
তিনি বলেন, গত ৭ আগস্ট গণটিকা কর্মসূচীতে যারা প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন তাদেরকে ৭ সেপেম্বর দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়ার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। তাই ধারণা করছি খুব শিগগিরই টিকার সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। কেটে যাবে হতাশা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন