শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গোবিন্দগঞ্জে ১৬ ইউপি চেয়ারম্যান সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:৩৮ পিএম

সরকারি ত্রাণ সহায়তার চাল আত্মসাতের অভিযোগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জনপ্রতিনিধি সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। জাল কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে গত ২৬ আগস্ট এই মামলা দায়ের করেন। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, কামদিয়ার বর্তমান চেয়ারম্যান মোশাহেদ হোসেন চৌধুরী, কাটাবাড়ির বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিম (রফিক), শাখাহারের বর্তমান চেয়ারম্যান তাহাজুল ইসলাম, রাজাহারের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকার, সাপমারার বর্তমান চেয়ারম্যান শাকিল আলম, দরবস্তর বর্তমান চেয়ারম্যান আ. র. ম. শরিফুল ইসলাম জজ, তালুককানুপুরের চেয়ারম্যান আতিবুর রহমান আতিক, নাকাই এর বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাদরে প্রধান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতারা বেগম রুপা, রাখালবুরুজের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন, ফুলবাড়ীর বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা, গুমানীগঞ্জের বর্তমান চেয়ারম্যান শরীফ মোস্তফা জগলুল রশিদ রিপন, কামারদহের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রতন, কোচাশহরের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, শিবপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মন্ডল, মহিমাগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, শালমারার সাবেক চেয়ারম্যান আমির হোসেন শামীম ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর গোলাপী বেগম।
দুদক সূত্র জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ধর্মীয় সভার অনুকূলে জিআর বরাদ্দকৃত ৫ হাজার ৮২ মেট্রিকটন সরকারি চাল জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। তারা প্রকল্প বাস্তবায়নের জাল কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি চাল তুলে কালোবাজারে বিক্রি করে। যার তৎকালীন বাজারমূল্য ছিল প্রায় ২২ কোটি টাকা।

দুদক সূত্র জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলা দায়েরের আগে বিষয়টি দুদকের পক্ষ থেকে প্রাথমিক অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর কমিশনের এক বৈঠকে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন