মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ফরিদপুরে ট্রলার ডুবির ৭ দিন পর শিক্ষকের লাশ উদ্ধার

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৮:২৬ পিএম

ফরিদপুর সিএন্ডবি ঘাটে ট্রলার ডুবির ঘটনায়, নিখোঁজ হওয়া দুই শিক্ষকের মধ্যে, বিগত ৭ দিন পর আজ ১ সেপ্টেম্বর বুধবার, একজন শিক্ষকের লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেল।

প্রত্যক্ষদর্শী, মোঃ দীন মোহম্মদ সৈয়াল, গ্রাম, চেয়ারম্যান বাড়ী উপজেলা নড়িয়া জেলা শরীয়তপুর ঢাকা যাওয়া উদ্দেশ্য মাঝিবাড়ীর ঘাট আসেন। নৌকা যোগে কাঁচিকাটার চড়ে যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুর ৩২/৩৩ নং পিলারের মাঝা- মাঝি জায়গায় অজ্ঞাত লাশটি ভাসতে দেখে তিনি দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তিকে জানালে তিনি ফরিদপুর থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানান এবং লাশের একটি ছবি সরবরাহ করেন।

তাৎক্ষণিক খবরটি যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনা জানাজানি হয়। বিষয়টি ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আলীমুজ্জামান অবগত হন।

পরে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল জলিল ঘটনাস্থলে একজন পুলিশ অফিসার সহ পুলিশের একটি টিম পাঠিয়ে লাশ উদ্ধারে আজমলের স্বজনদের নিয়ে মাঝিরঘাট চলে যান। এবং আজমলের লাশটি শিক্ষক রেজাউল সহ তার স্বজনরা চিহ্নিত করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট, ফরিদপুর সদর থানার সিএন্ডবি ঘাট থেকে বিকাল ৩ টায়, একটি ট্রলার নিয়ে ১৪ জন শিক্ষক পদ্মায় ভ্রমণে যান। ঐ দিনই চর থেকে ঘাটে ফেরার পথে স্থানীয় ৩ নং প্লটুনে পৌঁছলে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে প্রচন্ড স্রোতের তোড়ে ট্রলার ডুবি হয়।

১২ জন শিক্ষক সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও ঘটনা স্থানে শিক্ষক আজমল ও আলমগীর নিখোঁজ হন। বিগত ৬ দিন বহু খোঁজাখুঁজির পর আজ পহেলা সেপ্টেম্বর ৭ দিনের মাথায় শরীয়তপুর জাজিরার মাঝিরঘাট এলাকা থেকে শিক্ষক আজমলের মরদেহ উদ্ধার হলো।

আজমল ফরিদপুর সারদা সুন্দরী স্কুলের সহকারী (গণিত) শিক্ষক এবং সদর থানার খলিলপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত শহরের ১ নং সড়কের বাসায় থাকতেন। মরহুম শিক্ষক আজমল দুই সন্তানের বাবা ছিলেন। এর মধ্যে মেয়ে বড় এবং ছেলে ছোট। প্রকাশ থাকে যে, নিখোঁজ দুই শিক্ষকের মধ্যে অপর একজন আলমগীর এখনও নিখোঁজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন