সপ্তাহ ধরে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে চর, দ্বীপচরসহ নদ-নদী অববাহিকার নীচু এলাকার অন্তত: ৫০ হাজার পানিবন্দি মানুষ। এসব এলাকার কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার সকালে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে ৪৮ ও ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বন্যার কারণে জেলায় ২১ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এরমধ্যে রোপা আমন ২১ হাজার ১২৫ হেক্টর, শাকসবজি ২৭৫ হেক্টর এবং বীজতলা ১০৫ হেক্টর।গত ২৪ ঘণ্টায় উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর বাজারের কাছে বেড়ি বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে নতুন করে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে ব্রহ্মপূত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে চিলমারী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বসতবাড়ীতে পানি ওঠায় এখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পরেছে। প্লাবিত গ্রামগুলো হলো, রমনা ইউনিয়নের বাসন্তি গ্রাম ও টোনগ্রাম, চিলমারী ইউনিয়নের কড়াই বরিশাল, মনতোলা ও চর শাখাহাতি, নয়ারহাট ইউনিয়নের ঠাকুরের চর ও উত্তর খাউরিয়া, অস্টমীরচর ইউনিয়নের মুদাফৎ কালিকাপুর, ছালিপাড়া, খারুভাজ, খোদ্দ বাঁশপাতারি, খামার বাঁশপাতারি ও নটারকান্দি এবং রানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উদনা ও চর বড়ভিটাসহ আরো কিছু নিম্নাঞ্চলেন বাড়িঘর।
অপর দিকে ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে রাজারহাট উপজেলার গতিয়াশাম, খিতাবখা, কিংছিনাই ও সদর উপজেলার চর বড়াইবাড়িসহ ২৫টি পয়েণ্টে নদী ভাঙন তীব্র রুপ নিয়েছে। গৃহহীন হয়েছে আরো শতাধিক পরিবার।
চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন থেকে বন্যা কবলিতদের জন্য ২৮০ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ টাকা উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন