মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মার্কিন কংগ্রেসে ওবামার শেষ বাজেট অসম্মতি রিপাবলিকানদের

প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিন কংগ্রেসের বৈরী পরিবেশে গত মঙ্গলবার তার সর্বশেষ বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। বাজেটে রিপাবলিকানদের দাবিদাওয়া অগ্রাহ্য করে ওবামা তার এই শেষ বাজেটকে ‘সামনে এগিয়ে যাওয়ার বাজেট’ হিসেবে উল্লেখ করেন। বাজেটে নতুনভাবে সাইবার নিরাপত্তা বাবদ ১৯ শো কোটি ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। ২০১৭ অর্থবছরের এই বাজেট কার্যকর শুরু হবে আগামী ১ অক্টোবর থেকে। ৪ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি এই বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে অভ্যন্তরীণ ব্যয় ও সামরিক খাতে। এর পরেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ঋণ ব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থসেবার ওপর। রিপাবলিকানরা তার এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে।
নতুন এ বাজেটে ঘাটতি ৬১৬ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি বেড়ে যাবে। যা পূর্ববর্তী বছরে ছিলো ৪৩৮ বিলিয়ন ডলার। এই ঘাটতি বৃদ্ধি হবে মূলত কর হ্রাসের কারণে। প্রেসিডেন্ট ওবামা ও কংগ্রেস গত ডিসেম্বরে কর হ্রাসের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলো। এ কারণে নতুন বছরে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হ্রাস ৩ দশমিক ৩ ভাগ থেকে কমে ২ দশমিক ৫ ভাগে এসে দাঁড়াবে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এ অবস্থা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়ক হবে। প্রেসিডেন্ট ওবামা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যয় হ্রাস করার ১০ বছর মেয়াদী একটি প্রস্তাব রেখেছেন বাজেটে। ইতিমধ্যে কোটিপতি, কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অপরিশোধিত তেলের মূল্যহ্রাস বাবদ বাজেটে দু’ বছরের জন্য ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, গত ৭ বছরে আমরা অর্থনীতিতে ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছি। হোয়াইট হাউজে তিনি আরও বলেন, বেকারত্বের হার কমেছে। এছাড়া ঘাটতি ও গ্যাসের দামও অনেকটা কমেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, বেতন-ভাতা বেড়েছে ও আমেরিকানদের স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রগতিতে বিশ্বের যে কোন উন্নত দেশের সঙ্গে সমতুল্য হবে।
বাজেটে অসম্মতি জানিয়ে রিপাবলিকানরা বলেছে, প্রস্তাবিত এই বাজেট দীর্ঘমেয়াদে আমেরিকার অর্থনীতির জন্য অস্থিরতা ও হুমকি বয়ে আনবে। রিপাবলিকানদের সমালোচনার উত্তরে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, তারা যেটা করছে তা ঠিক নয়। এটা কোন মতাদর্শগত বিষয় নয়, যা নিয়ে তর্ক করা চলে। নিউইয়র্ক টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন