শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চাঁদা না পেয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

চাঁদা না পেয়ে বিল্ডিং ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরূপায় হয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। কুমিল্লার মুরাদনগরের বাঙ্গরা থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভূক্তভোগি মাহবুবুর রহমান সুমন বলেন, বাড়িতে একটি বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করি। কাজের শুরুতেই একটি মহল খাস জায়গায় বিল্ডিং করছি এমন অজুহাতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত বুধবার সন্ধ্যায় একটি মহল রড, সাবল, হাতুরি ও লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দু’জন শ্রমিক আহত হয়। হামলায় নেতৃত্ব দেন- একই গ্রামের মৃত তুজু মেম্বারের ছেলে আমিনুল ইসলাম, মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মফিজুল ইসলাম ও মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে সফিক মিয়া প্রমুখ। হামলাকারীরা গ্রেন্ডার মেশিন দিয়ে পিলার কেটে নির্মানাধীন বিল্ডিং মাটিতে মিশিয়ে দেয়। পরে ঘরে ঢুকে স্টিলের আলমিরা ভেঙে ১০ লাখ টাকা ও ৫ ভড়ি স্বর্ণালংকার লুট করে। ঘটনাটি ভিডিও করায় বাড়ির মহিলাদের ওপরও হামলা চালিয়ে কাপড়-চোপড় ছিড়ে ফেলে এবং ৩টি মোবাইল কেড়ে নেয়। তখন বাড়ির শিশু-বাচ্চারা ভয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে বাঙ্গরাবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম বাড়ি ভাঙচুর করার সত্যতা স্বীকার করলেও চাঁদা দাবি ও ঘরে ঢুকে লুটপাট করার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ প্রসঙ্গে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ভূক্তভোগিরা ৯৯৯-এ কল দিলে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন