ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩৫ সেঃমিঃ উপড়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে তিস্তার তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫ হাজার পরিবার। পানির প্রবল স্রোতের কারণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের প্রভাবে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে এবং শুক্রবার সকালে তা বিপদসীমা অতিক্রম করে দুপুর নাগাদ ৩৫ সেঃ মিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
এর ফলে গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার প্রায় ৮টি ইউনিয়নের ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ে। এরমধ্যে গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলি, শংকরদহ, বাগেরহাট আশ্রয়ণ, পূর্ব ইচলির ১ হাজার, কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা, মটুকপুর, চিলাখাল, খলাইরচরসহ নিম্ন এলাকার ১ হাজার ৫শ, নোহালীর মিনার বাজার, কচুয়াচর, বৈরাতী বাঁধের ধার, চর নোহালী, বাগডহরা চরের ৫শ, মর্নেয়া ইউনিয়নের মর্নেয়াচর, তালপট্টি, আলাল চর, নরসিং চরের ৫শ, গজঘন্টা ইউনিয়নের কালির চর, ছালাপাক, গাউছিয়া বাজার, জয়দেব, মইশাসুর, রামদেব চরে ৫শসহ আলমবিদিতর ও গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের নিম্ন এলাকার ৫/৬শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বিনবিনা চরের ১৪/১৫টি পরিবারের বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন রোধে এলাকাবাসী ও পাউবো বালির বস্তা ফেলে চেষ্টা চালাচ্ছেন। ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি সরিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন