নওগাঁ’র রানীনগর উপজেলায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মা ও ছেলেকে হাসুয়া ও লাঠিসোটা দিয়ে মারাত্মক যখম ও মারপিট করা হয়েছে। বাড়িঘর ও মোটর সাইকেল ভাঙচুর, ধান বিক্রির প্রায় দেড় লাখ টাকা, আধা ভরি ওজনের স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় রানীনগর উপজেলার লেহাচুড়া গ্রামে সংঘটিত হয়েছে। বর্তমানে ম্ াআনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা (৪৫) এবং ছেলে আশরাফুল আলম পাপ্পু (১৭) মারাত্মক আহত অবস্থায় নওগাঁয় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাপ্পু এখনও অচেতন রয়েছে।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আঞ্জুয়ারা জানিয়েছেন বৃহষ্পতিবার মাগরিবের নামজের পর হঠাৎ করে তাদের প্রতিবেশী জালাল উদ্দিন, তার দুই পুত্র সাইদুল ও রনি, আবুর পুত্র নান্নু, তার পুত্র সাজু এবং জনৈক আলতাফের পুত্র প্রান্ত সংগঠিত ভাবে হাসুয়া’ লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আনোয়ার হোসেন বাড়ির বাইরে ছিলেন। হামলাকারীরা তার স্ত্রী উক্ত আঞ্জুয়ারা এবং ছেলে পাপ্পুকে বেদম মারপিট করে। প্প্পাুর মাথায় ধারালো হাসুয়া দিয়ে আঘাত করে এবং মা’কে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক যখম করে। এ সময় হামলাকারীরা পাশেই পাপ্পুর মামা জয়নালের বাড়িতে চড়াও হয় এবং তাকেও মারপিট করে। বাড়িতে ১০০ মণ ধানসহ বিভিন্ন ফসল বিক্রির দেড় লাখ টাকা ছিল। সেই টাকা এবং আধা ভরি ওজনের স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও তারা বাড়িঘর এবং পাপ্পুর মোটর সাইকলেটি ভাংচুর করে।
এই হামলার কারন জানতে চাইলে আঞ্জুয়ারা বলেন হামলাকারীরা তাদের শরীক। তারা জোর করে তাদের সম্পত্তির উপর বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছে। এখন তাদের চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তার জন্য আরও জমি দাবী করে আসছে। এ নিয়ে বিরোধ মিমাংসার জন্য শনিবার এক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বৃহষ্পতিবার স
ন্ধ্যায় প্রতিপক্ষরা হামলার এই ঘটনা ঘটায়।
মারাত্মক আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় রানীনগর থানায় গেলে পুলিশ তাদের আগে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ মোতাবেক আহত মা ও ছেলেকে নওগাঁ জেলা সদরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ব্যাপারে রানীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ শাহিন আকন্দ বলেছেন ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। আহতদের প্রথমে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ ব্যভপারে হামলার শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে এলে মামলা গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন