বগুড়ার মাঠে মাঠে এখন হাইব্রিড জাতের পাকা আউশ ধান শোভা পাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কম খরচে বাড়তি ধান উৎপাদনে কৃষকরা ঝুঁকে পড়ায় বেড়েছে আউশের চাষ।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম, সদর, শেরপুর, শাজাহানপুর, ধুনট, গাবতলী উপজেলার মাঠে মাঠে পাকা ধান কাটতে ব্যাস্ত চাষীরা।
ধুনটের গোসাইবাড়ীর কৃষক খলিলুর রহমান জানান, তিনি চার বিঘা জমিতে হাইব্রিড আউশ চাষ করেছেন। দুই বিঘা জমির ধান কেটে বিঘা প্রতি ১২ মন ধান পেয়েছেন। তিনি আরও জানান, আউশ ধান কাটার পর কিছু জমিতে ভুট্টা এবং বাকী জমিতে গাইন্জা জাতের রোপা আমন ধান চাষ করবেন।
নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরার সামাদ প্রামানিক জানান, এক বিঘা জমিতে আউশ জাতের ধান উৎপাদন করতে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ধান পেয়েছেন ১১ মন।
শুধু ধান নয়, খড়ের চাহিদা এখন আরও বেশী। ধান এবং খড় বিক্রি করে মোটা অংকের লাভের মুখ দেখেছেন তিনি।
বগুড়া কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ দুলাল হোসেন জানান, অধিক লাভের আশায় কৃষকরা এখন জমিতে তিন ফসল চাষে ঝুঁকে পড়েছে। ইরিবোরো ধান কাটার পর এখন আউষ চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছে বগুড়ার কৃষকরা। জেলার প্রায় উপজেলাতেই এখন আউশ চাষ প্রচলন বেড়েছে। এ মৌসুমে বগুড়ায় ৮১২ হেক্টর জমিতে আউশ জাতের ধানের চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন