ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নে দেড় মাস আগে দায়ের করা একটি ধর্ষণ মামলায় আত্মগোপন করে আসামি সোহেল রানা (২৬)। এঘটনায় একাধিকবার অভিযান চালিয়েও চতুর ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এরপর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ধর্ষককে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঈশ্বরগজ্ঞ থানার উপ-পরিদর্শক সাদি মোহাম্মদ।
কিন্তু গ্রেফতারকৃত যুবকের পরিচয় নিশ্চিতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় পুলিশ সদস্যরা। পরে ওই মামলার ভিকটিম কলেজ ছাত্রীর মোবাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাদি মোহাম্মদ ভিডিও কল দিলে ধর্ষক শনাক্ত করেন সে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুল কাদের মিয়া।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত যুবক উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের মমরোজপুর গ্রামের মো: আমিনুল হকের পুত্র। গত ২০ জুলাই পাশের গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এরপর থেকেই সে ঢাকায় আত্মগোপন করে। পরে মামলার প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শনিবার সকালে ঢাকা জেলার সাভার এলাকা থেকে ধর্ষক সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
এবিষয়ে কলেজছাত্রী জানান, সকালে ঈশ্বরগঞ্জ থানার এস.আই (উপ-পরিদর্শক) সাদি মোহাম্মদ আমার মোবাইলে ভিডিও কল দিয়ে গ্রেফতারকৃত সোহেল প্রকৃত আসামি কিনা জানতে চাইলে আমি সোহেলের পরিচয় নিশ্চিত করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন