বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমার থেকে গ্যাস নিতে চায় ভারত

প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পাইপ লাইন বসিয়ে মিয়ানমার থেকে ভারতে গ্যাস নেয়া এবং ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে গ্যাস আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। গতকাল (বুধবার) নয়াদিল্লিস্থ পেট্রেলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাসবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে বাংলাদেশের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দ্বি-পাক্ষিক সভায় এই আলোচনা হয়।
এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। 
বৈঠকে ওএনজিসি‘র সার্ভে ও ড্রিলিং, মায়ানমার হতে গ্যাস আমদানিতে চারদেশীয় কনসোটিয়াম, টাপি, ইন্ডিয়ান ওয়েল কোম্পানি হতে এলএনজি সরবরাহ, আদানি কর্তৃক রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট এবং এলপিজি সরবরাহ, পেট্রোনেট ও পেট্রোবাংলা যৌথভাবে এলএনজি রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (আর-এলএনজি টার্মিনাল) স্থাপন, বিপিসি ও এনএলএল-এর মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় চুক্তির বিষয়সমূহ চূড়ান্তকরণ, বাংলাদেশে জ্বালানি খাতের প্রশিক্ষণ ও দক্ষ জনবল ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করা হয়। 
নোমালীগড় রিফাইনারী লিমিটেড হতে ডিজেল আমদানির মূল্য নিয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে এবং একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং কামিটি এ বিষয়ে বিশদভাবে কাজ করবে। পেট্রোনেটকে আর-এলএনজি সরবরাহের জন্য জি-টু-জি পদ্ধতি বা প্রতিযোগিতামূলক টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়। 
এলএনজি সরবরাহের জন্য যশোর হয়ে রংপুর পর্যন্ত পাইপলাইন করার বিষয়টি ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ইন্ডিয়ান ওয়েল কোম্পানি লিমিটেড (আইওসিএল) এলপিজি টার্মিনাল করার জন্য মহেশখালিতে জমি খুঁজছে; সে বিষয়ে বিপিসি-এর সহযোগিতা কামনা করা হয়। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া লিমিটেড রিফাইনারি কাজ দ্রুত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বর্ষাকাল শেষ হলেই ওভিএল গ্যাস অনুসন্ধান ও খনন কাজ শুরু করবে। বায়ু ফুয়েল ব্যবহার উৎপাদনে ইন্ডিয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে ভারত সহযোগিতা করবে। পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য জিএসবি এবং জিএসআই এর মধ্যে একটি নন-বাইন্ডিং সমঝোতা স্বারক চুক্তির বিশদ আলোচনা হয়েছে। 
ভারতের পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাসবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশের সাথে সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হবে। তিনি বলেন, যে কোন সংখ্যক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাংলাদেশের চাহিদা অনুসারে পরিচালনা করা হবে। ¯œাতকত্তোর ছাত্রদের প্রশিক্ষণ ও ডিপ্লোমা কোর্সে প্রেরণ করা যেতে পারে। গ্যাস রপ্তানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন ত্রিপুরায় যথেষ্ট পরিমাণ গ্যাস নাই। ভবিষ্যতে বিষয়টি নিয়ে ভাবা যাবে। 
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, টাপি, ইরান এবং মায়ানমার গ্যাস পাইপ লাইনে অংশ গ্রহনে বাংলাদেশের আগ্রহকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ভারতের পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ব্যক্তিগতভাবে স্টিয়ারিং কমিটি ও তার্কেমিনিস্থানের সাথে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, বিপিসি এবং আইওসিএল যৌথভাবে এলপিজি এর বাজার সম্প্রসারণ নিয়ে কাজ করতে পারে। 
বাংলাদেশী এলপিজি কোম্পানিগুলোও ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে পারে সে বিষয়টি আলোচনায় আসে। জ্বালানি খাত ও এর বাজারে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চতর বাস্তব শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করার জন্য তিনি, ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ধন্যবাদ জানান। 
এ সময় উভয় দেশের স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
MD Amirul Islam ৬ অক্টোবর, ২০১৬, ৯:৫২ এএম says : 0
ভারত চাইবে আর আমরা দিবো???? দেয়া বাাংলাদেশের জন্য নিরাপদ হবে না। বাংলাদেশের জনগন ও সরকারকে এখনি সচেতন হতে হবে।
Total Reply(0)
Syed ৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১:৫৪ পিএম says : 0
চাইতে হবে কেন ? এইটা তো ......................
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন