চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ভয়েস অব বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ইন চায়না নামে একটি সংগঠন। এটি চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করলে প্রায় ৬ হাজারের মতো শিক্ষার্থী বাংলাদেশে ফিরে আসে। দেশে ফিরে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে আমরা অনলাইন পাঠ্যক্রমের আওতায় আছি। কিন্তু অনলাইন পাঠদান শেখার জন্য পর্যাপ্ত না হওয়ায় আমরা পড়ালেখায় অনেক পিছিয়ে পড়েছি, এমতাবস্থায় যদি পরবর্তী সেমিস্টারেও চীনে যেতে না পারি, তাহলে আমাদের পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার হুমকির মধ্যে পড়বে। এই বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবার সঙ্কটে পড়বে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, গত প্রায় দুই বছর কেটে গেলেও আজ পর্যন্ত আমাদের ফিরে যাওয়া হয়নি। আমাদের ফিরে যাওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি।
সংগঠনটির পক্ষে থেকে ফজলে রাব্বী জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে চীনে অধ্যয়নরত ৮ হাজার ৯০০-এর মতো শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। প্রায় ৬ হাজারের মতো শিক্ষার্থী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চীনের তৈরিকৃত সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন। বাকিরাও শিগগিরই টিকার আওতায় চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২ বছর ধরে আটকে থাকা বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে চীনে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন