শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মধুমতির তীব্র ভাঙ্গনে বাবা-মায়ের কবর বিলীনের অপেক্ষায় সন্তান!

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৭:১৯ পিএম

ফরিদপুর আলফাডাঙ্গা মধুমতির তীব্র ভাঙ্গনের মুখে বাবা- মায়ের শেষ স্মৃতি একটি কবর! দিনের অপেক্ষা শেষ, এখন চলছে বিলীন হবার মিনিটের হিসেব। সর্বনাশা মধুমতি নদী প্রিয়জনের শেষ স্মৃতি কবর তাও কেড়ে নেওয়ার মিনিটের হিসেব করছেন এতিম সন্তান ইকবাল হোসেন। আবেগ প্রবণ ছবিটি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম চরনারানদিয়া গ্রাম থেকে তোলা। হয়তো আর মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে বিলীন হয়ে যাবে কবরটি।

মধুমতি নদীর হিংস্র থাবা থেকে বাবা-মায়ের কবরটা আর রক্ষা করতে পারলো না নিহতদের এতিম সন্তান। বার-বারই গণমাধ্যম কর্মীদের বললেন, বাবা- মা হারা ভক্ত মোঃ ইকবাল শেখ। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) এভাবেই নিজের মনের কষ্টের প্রকাশ করলেন, ইকবাল শেখ (৫২)।

বাবা-মায়ের কবরকে স্মৃতি হিসেবে আগলে রেখেছিলেন দীর্ঘদিন। মধুমতি নদীর তীব্র ভাঙ্গনে বহু কিছু হারিয়েছেন তার পরিবার। সর্ব শেষ হারাতে বসছেন, বাবা মায়ের বাঁধানো একমাত্র কবরটিও। এতিমের শেষ স্মৃতি, বাবা- মার কবর এখন মধুমতি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার কিছুক্ষণের অপেক্ষা।

উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চরনারানদিয়া গ্রামের নদী ভাঙনের শিকার ইকবাল শেখ বলেন, গত ১০ বছর আগে তার মা মারা গেলে বাড়ির পাশে কবর দেন। এরপর ৪ বছর আগে তার বাবা ইদ্রিস শেখ মারা যান। তাকেও তার মায়ের পাশে কবর দেন। তখন নদী ছিলো অনেক দূরে। কিন্তু বছর না আসতেই, নদী একদম বাড়ির নিকটে চলে আসছে ভাঙ্গন। ইতোমধ্যে, তার বাবা-মায়ের কবরের অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে বাড়ির সবকিছু নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তারা।

ইকবাল শেখের স্ত্রী সালমা বেগম জানান, নদীতে তাদের সব আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে। নিজ বাড়ীর জমিও বিলীনের পথে। তবে সবকিছু চলে গেলেও তার স্বামীর দুঃখ ছিলো না। থাকতো যদি বাবা- মায়ের কবর। বাবা-মায়ের কবরটা চলে যাওয়ায় বেশি ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছেন তার স্বামী। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আর সারাক্ষণ শুধু বাবা-মার কবরের কথা বলে কান্নাকাটি করছেন। তারা খাওয়া ধাওয়াও প্রায় বন্ধ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন